শিক্ষা সংবাদ: পূর্ব ঘোষিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেও নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা এবং পরীক্ষার সময় কোনোভাবেই পরিবর্তন করা হবে না বলেও জানায় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। তিনি বলেন, পিএসসি ঘোষিত সময়ে ৩ আগস্ট (শুক্রবার) ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর কোনো পরিবর্তন হবে না। অস্থির এ পস্থিতিতে যান চলাচলে অচল অবস্থা চলছে, এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীরা ঢাকায় এসে উপস্থিত হতে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন- এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষার সময় অনেক আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। আর দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে বিসিএস পরীক্ষা স্থগিত করতে হবে। যথা সময়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারে বিশেষ এ বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পিএসসির ঘোষাণা অনুযায়ী শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর ২৫টি কেন্দ্রে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ এ বিসিএসে শুধু চিকিৎসক নেয়া হবে। এতে ২শ’ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এছাড়া ১শ’ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হবে। অন্যান্য বিসিএস পরীক্ষার মতো এ পরীক্ষাতেও ঘড়ি, মোবাইল, ব্যাগ, ক্যালকুলেটরসহ কোনো ধরনের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে হলে আসতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ সকল বিষয় বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পিএসসি থেকে জানা গেছে, ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয় গত ১০ এপ্রিল, শেষ হয় ৩০ এপ্রিল। এতে মোট ৩৯ হাজার ৯৫৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন। ৩৯তম বিসিএসে ৪ হাজার ৫৪২ জন সহকারী সার্জন আর ২৫০ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেয়া হবে। সব মিলে প্রায় পাঁচ হাজার চিকিৎসক নেয়া হবে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে ২শ’ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এছাড়া ১শ’ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হবে। জানা গেছে, মেডিকেল সায়েন্স বা ডেন্টাল সায়েন্স বিষয়ে ১শ’ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এছাড়া বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০ নম্বর করে এবং মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তিতে ১০ নম্বর করে মোট ২শ’ নম্বরের দুই ঘণ্টার এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা হবে। প্রতি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর দেয়া হবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা হবে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর পিএসসি নির্ধারণ করবে। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ধরা হয়েছে ৫০।