দেশের খবর: অফশোর কোম্পানি খুলে ৮০ লাখ ডলার দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ নয় ব্যবসায়ীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই নয়জন যেন বিদেশে যেতে না পারেন- সেই ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে দুদকের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন- এমন তথ্য থাকায় তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।” যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ফালু ছাড়া অন্যরা হলেন- আরএকে পেইন্টস লিমিটেডের পরিচালক বিএনপি নেতা এস এ কে ইকরামুজ্জামান, তার ছেলে আরএকে কনজুজ্যমার প্রডাক্টস লিমিটেডের পরিচালক মো. কামারুজ্জামান, একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোহাম্মদ আমির হোসাইন, পরিচালক এম এ মালেক, ঝুলপার বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান, রোজা প্রোপার্টিজ লিমেটেডের মো. আসফাক উদ্দিন আহমেদ, আরএকে পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদুল করিম এবং আরএকে পেইন্টস লিমেটেডের পরিচালক সাইলিন জামান আক্তার। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, মোসাদ্দেক আলী ফালু ও অন্যদের বিরুদ্ধে ‘বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতর মাধ্যমে’ অবৈধ উপায়ে আট মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৬৫ কোটি টাকা) দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। “তারা বিদেশে অফশোর কোম্পানি খুলে মানিল্ডারিং ও হুন্ডির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করেছেন।” চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু। সে সময় ঢাকার একটি উপনির্বাচনে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। পরে খালেদা জিয়া তাকে বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদে নিয়ে আসেন। ২০১৬ সালে বিএনপির নতুন কমিটিতে ফালুকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে সরিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান করা হলে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ফালু নিজের ব্যবসা নিয়েই আছেন। সিকিউরিটিজ, আবাসন, অ্যাগ্রো, আমদানি রপ্তানি ব্যবসায় জড়িত এই ব্যবসায়ীএনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক । তার বিরুদ্ধে এর আগেও বেশ কয়েকটি মামলা করেছে দুদক।