ফিচার

নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে আ. লীগ নেতাদের বিবৃতি

By Daily Satkhira

August 03, 2018

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকায় সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় সাতক্ষীরা জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের শীর্ষ ৪জন নেতা একটি যৌথ বিবৃতি গণমাধ্যমের নিকট পাঠিয়েছেন। বিবৃতিটি হুবহু প্রকাশ করা হলো-

 

সম্মানিত সাতক্ষীরাবাসী, শোকাবহ আগস্ট মাসের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, ১ অগাস্ট ২০১৮ তারিখে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার প্রথম পাতায় ৬ কলাম জুড়ে “নজরুলের রাজনীতিতে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে হাবিবুর রহমান ও খালেক ম-ল” শিরোনামে একটি মিথ্যা, কুরূচিপূর্ণ ও মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলামের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করা হয়েছে। নজরুল ইসলামের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাণি¦ত হয়ে সত্যকে বিকৃত করে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সাতক্ষীরার সবচেয়ে জনপ্রিয় এই নেতাকে হেয় করার অসাধু চেষ্টা করেছে সাতনদী কর্তৃপক্ষ তার উপদেষ্টারা।

প্রিয় সাতক্ষীরাবাসী,

আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন মো. নজরুল ইসলাম ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন করে কমনরুম সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার পিতা মরহুম আব্দুল জব্বার সরদার ফিংড়ীর নিজ বাড়িতে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিভিন্ন সময় অপারেশনে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিত আশ্রয় ও সহায়তা দেয়ার কারণে তাকে যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে ফিংড়ী রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তার আপন ভাই মরহুম অধ্যক্ষ নজিবুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথেও আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন। নজরুল ইসলাম নিজে সারাজীবন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে এসেছেন। ছাত্রলীগের পর তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে দীর্ঘকাল আশাশুনি (তখন ফিংড়ী ইউনিয়ন আশাশুনি থানার অন্তর্ভূক্ত ছিল) থানা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর তিনি বিপুল ভোটে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সাতনদী পত্রিকার প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই ত্যাগী নেতা মরহুম মমতাজ আহম্মেদ ও এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী মনোনয়ন নিতে অপরাগতা জানানোয় নজরুল ইসলামকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়, যা ডাহা মিথ্যা এবং প্রতিবেদক ও সম্পাদকের মূর্খতার প্রমাণ দেয়।

প্রকৃত সত্য হলো, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রয়াত ওই দুই ত্যাগী নেতাসহ প্রয়াত এড. শেখ শামসুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম, এস এম শওকত হোসেন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শেখ ফারুক হোসেন সাতক্ষীরা-২ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা মো. নজরুল ইসলামকেই নৌকার মনোনয়ন দেন। মো. নজরুল ইসলাম সেই নির্বাচনে ৪৬ হাজারের বেশি ভোট (১৯৯১ সালের তুলনায় প্রায় ১৬ হাজার বেশি) পেলেও মাত্র ৬ হাজারের কিছু বেশি ভোটে পরাজিত হন। এরপর ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী এলাকার সকল আওয়ামী লীগ নেতা সম্মিলিতভাবে মো. নজরুল ইসলামকেই সমর্থন দেওয়ায় একমাত্র তিনিই নৌকার পক্ষে মনোনয়ন চান এবং নেত্রী তাকেই মনোনয়ন দেন। দেশব্যাপী বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্বাবধায়ক সরকারের ষঢ়যন্ত্রের সেই নির্বাচনেও মো. নজরুল ইসলাম ৭২ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে সাতক্ষীরা-২ আসনে পরাজিত হন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে হাবিবুর রহমান প্রকাশ্যে নৌকার প্রার্থী মো. নজরুল ইসলামে বিপক্ষে জামাতের প্রার্থী আব্দুল খালেক মন্ডলের পক্ষে বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় ভোট চেয়ে বেড়ান। সুতরাং, হাবিবুর রহমানের সাথে নজরুল ইসলামের রাজনৈতিক কোন সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই আসে না। এবং হাবিবুর রহমান তার পিতা-মাতা ও ভাইবোনের থেকে দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন ও বিপথগামী আছেন। অথচ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার অসৎ উদ্দেশ্যে সাতনদী কর্তৃপক্ষ ও তার উপদেষ্টারা নোংরামিতে নেমেছেন। প্রতিবেদনে সাবেক একজন পুলিশ সুপারের সময় জামাত নেতা হাবিবুর রহমানকে আটক করেও ছেড়ে দেয়ার যে কথা বলা হয়েছে তা বাংলাদেশ পুলিশের মত রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনীকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা বলে মনে হয়েছে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এর সঠিক জবাব দিতে পারবেন। বিভিন্ন নাশকতার মামলা বিষয়ে যা বলা হয়েছে তাও অবান্তর। মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব পুলিশের। সুতরাং এর জবাবও নিশ্চয়ই তারাই দিতে পারবেন।

সুপ্রিয় সাতক্ষীরাবাসী, ২০০৪ সালে মো. নজরুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলীয় কাউন্সিলদের বিপুল ভোটে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও জননেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর আসনে তাকেই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রদান করেন। কিন্তু শেষ মুহুর্তে মহাজোটগতভাবে নির্বাচনের কারণে নেত্রীর নির্দেশে তিনি জাতীয় পার্টির সমর্থনে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। সাতক্ষীরার রাজনীতির খোঁজখবর যারা রাখেন তারা সবাই জানেন যে, সেই নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা এম এ জব্বারকে বিজয়ী করতে মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে আমরা সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ও সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগ নিরলসভাবে পরিশ্রম করে বিপুল ভোটে জামাতের প্রার্থী আব্দুল খালেক মন্ডলকে পরাজিত করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নজরুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, সেই নির্বাচনে জামাত তাদের জেলা সেক্রেটারি নুরুল হুদাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করায়। সে নির্বাচনে সাতক্ষীরার গণমানুষের নেতা মো. নজরুল ইসলাম ১ লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জামাতের জেলা সেক্রেটারি নুরুল হুদাকে পরাজিত করেন। জামাত ওই নির্বাচনে মাত্র ৬২ হাজার ভোট পেয়েছিল। বাস্তবতা হচ্ছে, স্বাধীনতার পর সেবারই প্রথম সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী এলাকায় জামাতের কোন প্রার্থীকে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী পরাজিত করতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে এই নির্বাচনী এলাকার কোন ভোটেই আর জামাত দলীয় প্রার্থীরা আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারেনি। যার প্রমাণ ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামাত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আসাদুজ্জান বাবুর বিজয়।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের যে নেতার সততা, আদর্শ চরিত্র এবং সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা সদর নির্বাচনী এলাকায় আজ জনপ্রিয়তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে সাতনদী পত্রিকাটি সেই নেতা মো. নজরুল ইসলামের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। অথচ পত্রিকাটির প্রিন্টার্স লাইনে সম্পাদকম-লীর সভাপতি হিসেবে ছাপানো আছে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগেরই সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নাম। আমরা উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে, তবে কি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অকুতোভয় সৈনিক জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন মো. নজরুল ইসলামের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাণি¦ত হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে ভাবমূর্তি হারিয়ে দিশেহারা কোন মনোনয়ন প্রার্থী সাতনদীতে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের মূল হোতা? উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে জামাত-শিবিরের সহিংসতার সময় আমরা মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের নির্যাতিত ও নৃশংসতার শিকার নেতা-কর্মীদের পাশে সার্বক্ষণিক মাঠে ছিলাম।

সাতনদীর প্রতিবেদনে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল করিম সাবুর উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “আমাকে দাঁড় করিয়ে দিয়ে ভোটের পূর্বে তিনি ইন্ডিয়ায় চলে যান।” প্রথমত শেখ সাইফুল করিম সাবু আমাদেরকে নিশ্চিত করেছেন তিনি সাতনদীর কোন প্রতিবেদককে এ ধরনের কোন মিথ্যা বক্তব্য দেননি। পত্রিকা কর্তৃপক্ষ ও প্রতিবেদক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই অসত্য বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন মিথ্যা রিপোর্টকে বিশ্বাসযোগ্য করার স্বার্থে। অন্যদিকে, শেখ সাইফুল করিম সাবুকে মো. নজরুল ইসলাম বা কোন আওয়ামী লীগ নেতা দাঁড় করিয়ে দেননি। তিনি শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নিয়ে নিজ দায়িত্বে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। নজরুল ইসলাম সাইফুল করিম সাবুর হরিণ প্রতীকের পক্ষে কখনও কোন নির্বাচনী সভায় যাননি বা কারও কাছে তার জন্য ভোটও চাননি। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রবল চাপ থাকা সত্ত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অকুণ্ঠ আনুগত্যের কারণে নজরুল ইসলাম তার প্রিয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে অস্বীকার করেন। সাতক্ষীরা পৌর নির্বাচন নিয়ে যেসব কথা বলা হয়েছে তাও সত্যের অপলাপ মাত্র। নজরুল ইসলাম কখনও তার নেতা-কর্মীদের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে যেতে বলেননি। প্রতিবেদনে যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি জামাত নেতা খালেক মন্ডলকে নজরুল ইসলামের আপন চাচাতো ভগ্নিপতি হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, মো. নজরুল ইসলামের আপন কোন চাচাতো বোনের সাথে খালেক মন্ডলের বিয়ের কথা আমাদের জানা নেই। সাতনদী কর্তৃপক্ষ এবং তাদের বিপথগামী উপদেষ্টারা অসৎ এবং হীন উদ্দেশ্যে দূরের সম্পর্ককে আপন করে দেখানোর অপচেষ্টা করছেন। অথচ এই যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় বলে জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।

 

প্রাণপ্রিয় সাতক্ষীরাবাসী,

পরিশেষে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চাই, সাতক্ষীরার গণমানুষের নেতা নজরুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের প্রাণ। আমাদের নেতা-কর্মীরা গর্বিতভাবে বলতে পারেন, “নজরুল ইসলামের মত পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ আমাদের নেতা।” তাদের নজরুল ইসলামের পরিচয় দিতে গিয়ে লজ্জ্বা পেতে হয় না। বরং আমাদেরকে লজ্জ্বা পেতে হয় একথা ভেবে যে, আমাদের নেতা-কর্মীদের চেনেন না, তাদের সম্মান করেন না, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে অসদাচরণ করেনÑ এমন কেউ কেউ আমাদের জনপ্রতিনিধি।

 

বিবৃতিদাতারা হলেন-

আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সাতক্ষীরা জেলা। ও চেয়ারম্যান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ

আলহাজ্ব এস এম শওকত হোসেন সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা।

মোহাম্মদ আবু সায়ীদ সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সাতক্ষীরা পৌর শাখা।

মো. শাহাজান আলী সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা।