দেশের খবর: জনসমর্থন হারিয়ে বিএনপি-জামায়াত ‘আবারও নাশকতা ও সহিংসতার’ পথ বেছে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে শনিবার নিজের ফেইসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে তিনি কোটা সংস্কারের আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সমঝোতা হয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ‘একটি গোষ্ঠী অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ও আগের ছবি পোস্ট করে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’ বলেছেন জয়। “সবকিছু মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে, নিজেদের দাবির জন্য জনসমর্থন হারিয়ে বিএনপি-জামাত এখন আবারও নাশকতা ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ও ছবি ছড়িয়ে শিক্ষার্থী ও তরুণদের বিভ্রান্ত করতে তারা তৎপর,” স্ট্যাটাসে বলেছেন জয়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার দেশজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।জয় স্ট্যাটাসে বলেন, “কোটা ইস্যুর সমাধানের পরেও তাদের তথাকথিত নেতাদের এই কর্মসূচি দেখে আমি চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছি, তাদের সাথে বিএনপি-জামাতের অর্থনৈতিক কোনো সমঝোতা হয়নি তো? কারণ বিষয়টি কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।” গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা; সড়কে চালকের ও গাড়ির ‘লাইসেন্স পরীক্ষায়’ পুলিশের কাজে নেমে যায় তারা। তাদের ‘পরীক্ষায়’ অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও মন্ত্রী-এমপিরাও আটকা পড়েন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা স্বীকার করে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের নয়টি দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও তারা রাজপথ ছাড়েনি। এ আন্দোলন নিয়ে জয় বলেন, “নিরাপদ সড়কের জন্য শিক্ষার্থীদের সকল দাবিই আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার মেনে নিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই বাস্তবায়নও শুরু করে দিয়েছে। “পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া ছিল অত্যন্ত ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে। তারপরেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে একটি গোষ্ঠী অনলাইনে মিথ্যা তথ্য ও আগের ছবি পোস্ট করে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” ‘অন্যদিকে বিএনপি বলেছে যে এটি সরকার পতনের আন্দোলনের শুরু’ মন্তব্য করে জয় আরো বলেন, ‘শুধুমাত্র সাধারণ মানুষেরই ভোগান্তি বাড়ছে।’