খেলার খবর: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টাইগারদের ১৭১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরি ডুবে গেছে। ইনিংসের অষ্টম ওভারের মধ্যেই টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশি বোলাররা।
এরপর খুব একটা ভালো ব্যাট করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৯ রান করতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শেষের ১০ ওভারে তাদের জিততে প্রয়োজন ছিল ৯০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশার প্রতীক হয়ে টিকে রয়েছেন ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার।
শুরুতেই এভিন লুইস ও আন্দ্রে রাসেলকে তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে চাপ তৈরি করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। মারলন স্যামুয়েলসকে ফিরিয়ে সেই চাপ অব্যাহত রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান। তাতে বাড়তি পারদ জোগালেন রুবেল হোসেন। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফিরিয়ে দিলেন দিনেশ রামদিনকে।
চতুর্থ ওভারে আবারো আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর।
ফিরিয়ে দেন ভয়ঙ্কর আন্দ্রে রাসেলকে। পরের ওভারে মারলন স্যামুয়েলসকে ফেরান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান দিনেশ রামদিনের উইকেট তুলে নেন রুবেল হোসেন।
রবিবার ফ্লোরিডার লডারহিলে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তবে শুরুতেই হোঁচট খান টাইগাররা। স্কোরবোর্ডে ৭ রান যোগ হতেই অ্যাশলে নার্সের শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনিংয়ে নামা লিটন দাস (১)। আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করে ওয়ানডাউনে নামা মুশফিকুর রহিম। সেই নার্সের স্পিন ভেলকিতে রাসেলকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল (৪)। আবারও ব্যর্থ হন সৌম্য (১৪)। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই সাজঘরে ফেরত আসেন তিনি। এতে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর লিটন, মুশফিক, সৌম্য ফিরে গেলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন তামিম। পরে সাকিবকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন তিনি। একপর্যায়ে জমে ওঠে তাদের জুটি। এতে পথ দেখতে পায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৩৮ রানে রাসেলের শিকার বনে ফেরেন তামিম। ফেরার আগে ৪৪ বলে ৬ চারের বিপরীতে ৪ ছক্কায় ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
তামিম ফিরলেও থেকে যান সাকিব। চলতেই থাকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের চমক। ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে হার মানেন তিনি। কিমো পলের বলে মারতে গিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এর আগে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৭ম ফিফটি। ৩৮ বলে ৬০ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলার পথে তিনি হাঁকান ৯ চার ও ১ ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ১৭১ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।