রাজনীতির খবর: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলার মধ্যে এ সংশ্লিষ্ট বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ‘জড়িয়ে’ যে অডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তার কথোপকথনকারীকে আটক করার কথা জানিয়েছেন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখা।
আজ রোববার দুপুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কুমিল্লা থেকে ব্যারিস্টার মিলহানুর রাহমান নাউমিকে আটক করেছে ঢাকার ডিবি পুলিশ। গতকাল রাতে তাঁকে আটক করা হয়। পরে আজ তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
এদিকে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, কুমিল্লার বারেরা উপজেলার দেউরা গ্রাম থেকে নাউমিকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। নাউমি লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার অ্যাট ল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি বিএনপি নেতার মেয়ের বন্ধু।
নাউমির বাবা সিদ্দিকুর রহমান সুরুজ জানান, নাউমি তাঁর ফুপুর বাড়িতে তাঁর চাচাতো বোনের বিয়ের দাওয়াত দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে সিদ্দিকুর রহমান সবুজ জানান, নাউমি দেশে রাজনৈতিক কোনো দলের সঙ্গে জড়িত নয়। সে ছোটবেলায় পড়াশোনার জন্য বিদেশে চলে যায় এবং লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পড়া শেষ করে গত ছয় মাস আগে দেশে আসে। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে তাঁর চাচাতো বোনের বিয়ের দাওয়াত দেওয়ার জন্য ফোন করেছিল নাউমি। এর বাইরে যে কথাগুলো হয়েছে ফোনালাপে, সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন বলেও জানান।
নাউমির বাবা আরো বলেন, ‘তারপরও যদি সে অপরাধ করে থাকে, তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার করা হোক। তবে তাঁর প্রতি যেন অবিচার করা না হয়।’
স্বজনরা জানান, আজই এই বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। জানা যায়, নাউমির মামা মানজুরুল আলম ও চাচা ফরিদুল রাহমানকেও আটক করেছিল পুলিশ। যদিও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার বিকেলে ফোনালাপটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।