বিদেশের খবর: নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থী ও তরুণদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। ৫ আগস্ট রবিবার বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো’র এক বিবৃতিতে সংস্থাটির এমন উদ্বেগের কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে সংস্থাটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও পোস্ট করা হয়। এতে বলা হয়, ‘সড়ক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা শিক্ষার্থীদের বৈধ অধিকার। সহিংসতার হুমকি পাওয়া ছাড়াই তাদের মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে। দুনিয়াজুড়ে আরও ভালো সড়ক নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘ দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়েছে। বাংলাদেশে তরুণদের প্রাণহানির একটি বড় কারণ সড়ক দুর্ঘটনা।’বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ হাজার মানুষ নিহত হন। জাতিসংঘ বলছে, ‘রাজধানীতে গত কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কমবয়সীরা আহত হয়েছে। এটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। বিক্ষোভের কারণে অনেক স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে, শেখার সুযোগ থেকে শিশুদের বঞ্চিত করা হয়েছে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সহিংসতার খবরগুলোতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে তরুণদের উদ্বেগ যৌক্তিক। ঢাকার মতো একটি মেগা সিটিতে এর সমাধান প্রয়োজন। শিশু, কমবয়সী মেয়ে ও নারীসহ সবার নিরাপত্তার জন্য একটি কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা উচিত। যে কোনও ধরনের সহিংসতা এড়াতে শিশু-কিশোরসহ সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে জাতিসংঘ। উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে (র্যাডিসন হোটেলের উল্টোদিকে) বাসচাপায় রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় বিমানবন্দর সড়কের বাঁ-পাশে বাসের জন্য অপেক্ষমান অবস্থায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিলে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে দেশজুড়ে রাজপথে নামে শিক্ষার্থীরা। আল জাজিরা, বিবিসি, ডয়চে ভেলে, আনাদোলু এজেন্সি, গালফ টাইমস, সিনহুয়া, এপি, এএফপি’র মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হয় শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের কাভারেজ।