নিজস্ব প্রতিবেদক : কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে এক কলেজ ছাত্রকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে কলারোয়া উপজেলার বেত্রাবতী স্কুলের সামনে এঘটনা ঘটে। আহত ওই কলেজ ছাত্র উপজেলার বৈদ্যপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে তৌহিদুর রহমান লাল্টু। সে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অর্নাসের বিভাগের ছাত্র। আহত লাল্টুর চাচা মুজিবুর রহমান জানান, লাল্টু সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে লেখাপড়া করেন। বুধবার সে বাড়ি আসার পতিমধ্যে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির মাদকাসক্ত সভাপতি আবু সাঈদ ও সাকিল খান জজ তার গতিরোধ করে তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা পাশ্ববর্তী আব্দুর রশিদের ছেলে রিপনের ঘরে নিয়ে লাল্টুকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে ফেলে রেখে যায়। এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মুজিবুর রহমান আরো বলেন, আমাদের পরিবারের সকলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। বর্তমান কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক মাদকাসক্ত। আমরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। এবিষয়ে কলারোয়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল খান জজ চাঁদা দাবি অস্বীকার বলেন, লাল্টু জালালাবাদ ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি। সে কারণে তাকে রাস্তায় দেখে ছাত্রলীগ নেতাবৃন্দ তাকে আটক করে। এসময় একটু মারপিট হয়েছে। তিনি আরো বলেন লাল্টুর পরিবার আওয়ামীলীগ করলেও সে শিবির করে। এদিকে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ বলেন, আমি নতুন হিসাবে যতদুর জেনেছি তার পরিবার আওয়ামীলীগ করে। লাল্টু যেহেতু সাতক্ষীরায় থাকে। সে কারণে লাল্টু শিবির করে কিনা আমার জানা নেই। তবে কোন আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান শিবিরের সাথে জড়িত থাকতে পারে এটা মানতে পারছি না। মারপিটের ঘটনা আমরা শুনেছি। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ ফেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।