জাতীয়

শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট অক্টোবরে চালু হচ্ছে

By daily satkhira

August 10, 2018

দেশের খবর: অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে চালু হচ্ছে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ইনস্টিটিউটের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ১৭তলা ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় পুরোটাই হয়ে গেছে। এখন যন্ত্রপাতি আসা শুরু হয়েছে। দেশের বাইরে থেকে যেসব যন্ত্রপাতি আসবে সেগুলোর ইন্সপেকশনও হয়ে গেছে। ডা. সেন বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাদের বলেছেন— এটা যেন দেশের একটি সর্বাধুনিক হাসপাতাল হয়। এতে যেন কোনও ধরনের অবহেলা না থাকে। এটা যেন উদাহরণ দেওয়ার মতো একটি হাসপাতাল হয়। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের চিফ আমার সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন— অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি এটির উদ্বোধন করবেন।’ চিকিৎসকরা বলছেন, প্রায় দুই একর জমির ওপর নির্মিত এই ইনস্টিটিউট চালু হলে এটি সর্বাধুনিক শিক্ষা, চিকিৎসা ও সেবার ক্ষেত্র তৈরি করবে। মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন, পাশাপাশি তারা বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন। এখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির উন্নততর চিকিৎসার সুযোগ পাবেন রোগীরা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহুতল এই প্রতিষ্ঠানটিতে থাকবে ১০০টি কেবিন, ৬০টি বেডের হাইডেফিসিয়েন্সি ইউনিট (এইচডিইউ), ৪০ বেডের আইসিইউ, ১২টি অপারেশন থিয়েটার এবং পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডসহ সব ধরনের পরীক্ষার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৫০০ বেডের এই হাসপাতাল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। পুরনো ঢাকার চাঁনখার পুলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশেই নির্মিত হয়েছে হাসপাতালটি। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাব্য সময় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর। প্রকল্পটির তত্ত্বাবধান করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বার্ন ইউনিটের যোগাযোগের জন্য ফ্লাইওভারও নির্মাণ করা হবে। এটি হবে বিশ্বের অন্যতম বড় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।’ তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমে পাঁচটি শয্যা নিয়ে এই হাসপাতালে (ডিএমসিএইচ) বার্ন ইউনিটের যাত্রা শুরু করেছিলাম। পরে তা ২০টিতে উন্নীত হয়। সেখান থেকে বার্ন ইউনিট এখন একটি ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট পুর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউটে পরিণত হতে যাচ্ছে। এটি চালু করতে পারলে আমার জীবনের অনেক বড় একটি স্বপ্ন পূরণ হবে।’