লাইফস্টাইল

গুড়ের ক্ষতিকর দিক

By daily satkhira

August 11, 2018

স্বাস্থ্য কণিকা: গুণগত মান, দৈহিক অবস্থাসহ অন্যান্য অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে গুড় আসলে কতটা ক্ষতিকর হতে পারে। বাড়াতে পারে ওজন: প্র্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে আছে ৩৮৫ ক্যালরি, তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় আছেন গুড় তাদের জন্য নয়। সামান্য পরিমাণে খাওয়া হয়ত সমস্যা হবে না। তবে অতিরিক্ত খেলে তা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি, যা বেশি ওজনধারীদের জন্য অসুবিধার কারণ হতে পারে। তাই গুড়ে যতই পুষ্টিগুণ থাক না কেনো বাড়তি ওজনধারীদের বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। রক্তে বাড়াতে পারে শর্করা: চিনির তুলনায় স্বাস্থ্যকর হলেও গুড় যেহেতু মিষ্টি, তাই এটি অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াবেই। প্রতি ১০ গ্রাম গুড়ে থাকে ৯.৭ গ্রাম চিনি। জীবাণু সংকমণ: গুড় তৈরির পদ্ধতিতে ভুল হলে কিংবা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা না হলে সেই গুড় থেকে অন্ত্রে বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। গুড় সাধারণত তৈরি হয় গ্রামে যেখানে সিংগভাগ সময়েই স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বজায় রাখা হয় না। তবে এই জীবাণু সংক্রমণ থেকে স্বাস্থ্যহানি কিংবা শারীরিক জটিলতা হতেও পারে, আবার নাও পারে। হজমের সমস্যা: সদ্য তৈরি গুড় খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। আবার এই সদ্য তৈরি গুড় খেয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়ার উদাহরণও রয়েছে। নাক থেকে রক্তক্ষরণ: প্রচণ্ড গরমের দিনে গুড় খেলে নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তাই গ্রীষ্মকালে গুড় না খাওয়াই নিরাপদ। রোগের তীব্রতা বাড়াতে পারে: গুড় প্রক্রিয়াজাত নয় এবং এতে প্রচুর পরিমাণে সুক্রোজ থাকে। তাই যাদের বাত বা প্রদাহভিত্তিক রোগ আছে তাদের গুড় বাদ দেওয়া কিংবা একেবারে সামান্য পরিমাণে খাওয়া উচিত। কারণ গবেষণায় দেখা দেছে, সুক্রোজ ‘ওমেগা থ্রি’ ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে প্রদাহের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। মাছ আর গুড়: আয়ূর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্র মতে, গুড় আর মাছ কোনো অবস্থাতেই একসঙ্গে খাওয়া চলবে না। আবার যার ‘আলসারেটিভ কোলাইটিস’ অর্থাৎ পরিপাকতন্ত্রে আলসারের সমস্যা আছে তার জন্য গুড় খাওয়া একদমই মানা।