নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার দেবহাটায় ১০ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে এক গৃহবধুকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ঔই গৃহবধু হুমকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আসামীরা প্রভাবশালি হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে তারা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
মামলা ও নির্যাতিত গৃহবধু জানান, ২জুলাই২০১৭ তারিখে দেবহাটা উজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র মোরশেদ আনামের সাথে বিয়ে হয় দেবহাটা কোমরপুর গ্রামের আবুল কাশেমের কন্যা মারুফা খাতুনের সাথে। বিবাহের পর তারা ঘর সংসার করতে থাকে। এর মধ্যে তার স্বামী ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। মেয়ের পিতা গরীব হওয়ায় যৌতুকের টাকা দিতে পারবে না বললে তার উপর শুরু হয় নির্যাতন। যৌতুকের দাবীতে গত ১৯জুন২০১৮ তারিখে স্বামী মোরশেদ আনাম শশুর আব্দুল মালেক শ্বাশুড়ি নাজমুন নাহার স্বামীর ভাই মাসুদ কামাল তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপরদিন আমি দেবহাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারাত্মক আহত অবস্থায় ভর্তি হই। সেখানেও আসামীরা আমাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। আমি সেখান পালিয়ে অন্যত্র চিকিৎসা সেবা গ্রহন করি। এরপর গত ২৪/০৬/১৮ তারিখে আমি আসামীদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করি। লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করার পর তারা প্রকাশ্য আমার জীবন নাশের হুমকি দেয় এবং বলে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক না দিলে তার সাথে ঘর সংসার করবে না। মারুফা খাতুন আরও জানান, তিনি প্রতিকার চেয়ে ১২জুলাই২০১৮ তারিখে দেবহাটা পারিবারিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামল নং পারিবারিক ১৪/২০১৮। পরবর্তীতে গত ১৯ জুলাই ১৮ তারিখে নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং পি ৭০০/২০১৮। পরবর্তীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করি যার নং পিটি ৩৭০/১৮। বর্তমানে মামলা গুলো বিচারাধীন আছে। মারুফা খাতুন আরও বলেন ২০১৩ সালে সখিপুর কেবি কলেজে এইচ এসসি পড়া কালিন সময়ে মোরশেদ আনামের সাথে আমার সম্পর্ক হয়। তার সাথে আমার সম্পর্ক ও ভালবাসার কথা সবাই জানত। সে আমাদের বাড়িতে ও আমি তাদের বাড়িতে অবাদে যাতোয়াত ছিল। এলাকার সবাই জানত আমাদের সর্ম্পেকর কথা। আমরা ভালবেসে ২ জুলাই ২০১৭ তারিখে সাতক্ষীরা কাজী অফিসে আমদের বিবাহ হয়। এর পর আমার বিবাহের পর আমার স্বামীর সেনাবাহিনীতে চাকুরি হয়। স্বামীর চাকুরি হওয়ার পর স্বামীসহ তার বাড়ির লোকজন আমাদের বিবাহ অস্বীকার করতে থাকে এবং বলে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে হবে। বর্তমানে আমার স্বামী ঢাকার তেজগাঁও সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন।
মোরশেদ আনাম জানান, তার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। তাকে নিয়ে আমি ঘর সংসার করেছি। কিন্তু সে কোন কিছু না জানিয়ে আমার পরিবার ও আমার নামে মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে বসাবসি হয়েছিল কিন্তু তারা আসেনি বা বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টাও করেনি।