নিজস্ব প্রতিবেদক: পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাতক্ষীরা জেলা শাখার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলন আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কোম্পানির নকল বই বাজারজাত করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, তিনি গত ২০০৮ ও ২০০৯ সাল এবং ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের ১৭ই আগষ্ট পর্যন্ত দায়িত্বে থাকা কালিন সমিতির ২৫০ জন সদস্যের প্রতিবছরের বার্ষিক চাঁদা মোট ৬/৭ লক্ষ টাকা তার কাছে ছিল। উক্ত টাকা সমিতির নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে সেই টাকা দিয়ে নিজেই ব্যবসা করেছে। যা সমিতির সংঘস্মারক ও সংঘবিধি পরিপন্থি। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সাতক্ষীরা জেলা শাখার অডিটে আসেন আব্দুর রব ওয়ারসী। সে সময় মিলন আহমেদ সঠিক হিসাব দেখাতে পারে নি। যার কারণে তার কাছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার অনিয়ম ধরা পড়ে। এবং উক্ত টাকা অডিট অফিসার সমিতির একাউন্টে জমা দিতে বলেন। জমা না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে তার পিতার নামে ৫০ হাজার করে মোট ১ লক্ষ টাকার দুই টি চেক সমিতির সাবেক আহবায়ক অলি উল্লাহ’র কাছে প্রদান করেন। উক্ত চেকে কোন টাকা না থাকায় অলিউল্লাহ চেক ডিজঅনার করার জন্য সাতক্ষীরা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং- সেশন ৩৪৯/১৪। মামলার প্রেক্ষিতে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে ৫০ হাজার টাকা, ২৬ মে তারিখে ৩ হাচজার টাকা, ৬ অক্টোবর তারিখে ৪৮ হাজার ১২৯ টাকা এবং ৯ অক্টোবর তারিখে ১৮ হাজার ২শ টাকা মোট ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৩২৯ টাকা সমিতির নিজস্ব একাউন্টে জমা দেন। এ অপরদিকে তালা উপজেলার বুক সেন্টার লাইব্রেরি ও বই বিতান লাইব্রেরি নামে সমিতির কোন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে দুইটি লাইসেন্সের অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে তালা উপজেলার সভাপতি ও সম্পাদক জেলা কমিটির নিকট আবেদন করলে তদন্তের মাধ্যমে দুইটি লাইসেন্স জেলা কমিটি বাতিল করে এবং মিলন আহমেদকে উক্ত টাকা গ্রাহকদের কাছে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু জেলা কমিটির আদেশ উপেক্ষা করে গ্রাহকের টাকা এখনো সম্পূর্ণ ফেরত দেননি তিনি। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির নকল বই বাজারজাত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলুষিত করছে। গত ৩ মাস আগে নকল বই অভিযানে ঢাকা থেকে প্রেরিত সমিতির টাস্কফোর্স কমিটি সাতক্ষীরায় অভিযান চালালে তার পিতার পপি লাইব্রেরি থেকে লেকচার কোম্পানির নকল বই আটক করে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে অফিস সহকারি হিসাবে মোঃ জিল্লুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তার মাসিক ৩২শ টাকা বেতনের দীর্ঘ ৯ মাসের কোন বেতন তাকে দেওয়া হয়নি। নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানাযায় সে জিল্লুর রহমানের টাকা উত্তোলন করে মিলন আহমেদ নিজে আত্মসাৎ করে। এছাড়া জিল্লুর রহমান চাকরি করা কালিন সময়ে মিলনের কথা মতো সে অফিসের কাগজ পত্র নিজের টাকা দিয়ে ফটো কপি থেকে শুরু করে সব খরচ করলেও তার সেসব টাকাও দেওয়া হয়নি। এব্যাপারে মিলন আহমেদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।