তালা প্রতিনিধি: কালের স্বাক্ষী বাঙালি জাতির স্বাধীনতা যুদ্ধে রক্ত ঢেলে দেওয়া অমর স্মৃতি সাতক্ষীরা তালা উপজেলার পারকুমিরার বধ্য ভূমি আজও অরক্ষিত। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পদার্পণ হলেও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ২৩ এপ্রিল শুক্রবার পাক হানাদার বাহিনী নির্মম নির্যাতন চালিয়ে একসাথে ৭৮ জন নিরস্ত্র বাঙালিকে হত্যা করে। হত্যার পর তাদেরকে একই কবরে মাটি চাপা দেয়। যুদ্ধের অমর স্মৃতি রক্ষণাবেক্ষণের এখনো হয়নি। বর্তমান স্থানটি নির্বাচন করে তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বারস্থ হয়ে মাত্র ৪ টন গমের টাকায় মাটি ভরাট করেছে। এর আগে বদ্ধ ভূমি ছিল কৃষকের চাষাবাদের জমি। হাটি হাটি পা পা করে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস তথা পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের কথা আজ আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার মুখে মুখে। যে উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল সে উদ্দেশ্য আজ অনেকটা সফলতার মুখ দেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি রাজাকার গোষ্ঠী বাংলার মাটি থেকে অনেকটাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়েছে। আজ ৭১-এর রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের সূর্য সন্তান হিসেবে বর্তমান প্রজন্ম গর্বিতভাবে সম্মান করে। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেও তপ্ত বুলেটের আঘাতে রক্তে লটিত শহীদদের স্মৃতি কেন রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না এটি সাধারণ জনমনে প্রশ্ন। তালা উপজেলার পারকুমিরার ৭৮ শহীদের গণকবর রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় নিশ্চিহ্ন হতে পারে বলে সুধী মহলের ধারণা। ১৯৯২ সালে ২৪ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বধ্য ভূমিতে পা রেখে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা শেষে পর একটি স্মৃতিফলক উন্মোচন করে। ফলকটিও আজ বিবর্ণ হয়ে অনেকটাই বিলীনের পথে। তালা উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে গণকবরটি রক্ষণাবেক্ষণে আন্তরিকতার অভাব নেই। ইতি মধ্যে এলজিইডি’তে প্রায় কোটি টাকা মূল্যে স্মৃতিসৌধের অনুমোদন হলেও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে টাকা না থাকায় বাস্তবায়নে সম্ভব হচ্ছে না। তবে অতি দ্রুত ৭৮ শহীদের গণকবর তালা উপজেলা তথা দক্ষিণবঙ্গের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য স্মৃতিসৌধ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।