দেশের খবর: শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ট্রাফিক সপ্তাহ। রাজধানীর মোড়ে মোড়ে বসেছে চেকপোস্ট কিংবা ভ্রাম্যমাণ আদালত। চলমান ট্রাফিক সপ্তাহের কারণে ব্যাপক হারে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ায় ট্রাফিক সপ্তাহ আরও তিন দিন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া। গত ৫ আগস্ট থেকে চলমান ট্রাফিক সপ্তাহে এক লাখ ৭৬ হাজার ৫৯৪টি মামলা এবং ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯ হাজার ২২৩ টাকা জরিমানা করেছে পুলিশ। যা চলবে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। সরেজমিন ঘুরে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ট্রাফিক সপ্তাহ। তারপর আরও তিন দিন বাড়িয়ে করা হয় দশ দিন। ট্রাফিক সপ্তাহের অভিযানে যানবাহনের ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন এবং ট্রাফিক আইন অমান্যের ঘটনায় করা হচ্ছে মামলা ও জরিমানা। তবে রাজধানীতে ট্রাফিক সপ্তাহ নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন বাস, মোটরসাইকেল ও সিএনজির চালকরা। সিএনজি চালক মনতাজ উদ্দিন বলেন, আমার গাড়ির সকল কাজপত্র ও ড্রাবিং লাইসেন্স আছে। কিন্তু দেখা যায়, গুলিস্তান থেকে মিরপুর যেতে কয়েক জায়গা চেক করা হয়। যা খুবই বিরক্তকর। একটা গাড়ি বার বার চেক করে সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু না। এছাড়া বিআরটিসি বাস চালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ট্রাফিক সপ্তাহ চলার কারণে অনেক গাড়ি দেখা যায় না। ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো গেরেজে পড়ে রয়েছে। ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোর বিভিন্ন অপকর্মের জন্য আমরা দায়ী হবো কেন? ট্রাফিক সপ্তাহে কারণে বিআরটিসির উপরের যাত্রীর অনেক চাপ যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে শিক্ষার্থীরা গাড়ির কাগজপত্র যাচাই ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু করে। এরপরই শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার অনুরোধ করে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে ট্রাফিক পুলিশ।