নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ক্রয়কৃত সম্পত্তি জালিয়াতি চক্র কতৃক জোর পূর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জমির মালিক প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। পুলিশ সুপার বিষয়টি সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
সুলতানপুর এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে জিয়াউল হক লিখিত অভিযোগে বলেন,সুলতারপুর মৌজায় এস.এ ৬৮ নং খারিজ মতে ৬৮/২ নং খতিয়ানে ১২১ দাগে ০.৪৫ একর জমির মধ্যে ০.১০ একর জমি ফাতেমা খাতুনের কাছ থেকে ৭/৬/২০১৫ তারিখে ক্রয় করি। যার কোবলা দলিল নং ৪২৬০। উক্ত জমি ক্রয় করে নিজ নামে নামপত্তনসহ খাজনা পরিশোধ করে আসিতেছি। পূর্বের জমির মালিক সেমিপাঁকা ঘর নির্মান করে আশাশুনি উপজেলার মজিবর রহমানের ছেলে অহেদ মোড়লের নিকট ভাড়া দেয়। আমি জমি ক্রয় করে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে থাকি। অহেদ মোড়ল মারা গেলে তার স্ত্রী কন্যরা সেখানে বসবাস করতে থাকে। তারা হঠাত করে ভাড়া বন্ধ করে দেয় এর কারন জানতে চাইলে তারা বলে জনৈক জোনাব আলি মৌখিক ভাবে জমিটি দান করে গেছেন। তারা সাতক্ষীরা সহকারি জজ আদালতে দেওয়ানি ১৬৬/১৫ ও ১৯৯/১৫ নং দুটি মামল দায়ের করে যাহ বিজ্ঞ আদালত ২৫//২০১৭ তারিখে খারিজ করে দেয়। লিখিত অভিযোগে তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে নাজিরা বেগম সাতক্ষীরা চিহিৃত জালিয়াতি চক্রের হোতা বালিথা গ্রামের শওকাত আলীর জামাই জাল সামাদ যোগসাজসে কালিগঞ্জ সাবরেষ্ট্রি অফিসে ২৪৪৮ ও আশাশুনি সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে ২০২২ সং জাল দলিল সৃষ্টি করে। একই আদালতে ৮৯/১৭ নং একটি পার্টিশন মামলা দায়ের করে। উক্ত জমির জাল দলিল সৃষ্টি করে জালিয়াতি চক্রের হোতা জাল সামাদ বিভিন্ন ভাবে আমার কাছে চাঁদা দাবী করছে। চাঁদা না দিলে তারা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। শুধু তাই না তারা আমার ভগ্নিপতি মোকলেস আলীকে খুন জখম করার হুমকি দিচ্ছে। হুমকি ও জীবন নাশের ভয়ে গত ২০/১২/১৬ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি ৯৯৫ নং সাধারণ ডায়রি করি। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে জিয়াউল হক জাল চক্রের হোতা সামাাদ মুহুরু ও তার গংদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর ১০/০৭/২০১৮ তারিখে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেছেন।