নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় জাতীয় শোক দিবস পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় আতর্কিতভাবে জেএমবি আজিজ, লাবলু ও আশরাফুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের হামলায় যুবলীগ নেতা মিন্টু ওরফে নক্কু (২৮) গুরুতর আহত এবং আরো ১৯জন যুবলীগ কর্মীকে আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নক্কুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে সাতক্ষীরা ও খুলনার চিকিৎসকরা অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে অবিলম্বে ঢাকার নেয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে, এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক জেএমবি আজিজ, ইমরান, সোহাগ, আসাদুল ও লিয়াকতকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ”এবিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। ” শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন বলেন, “ইতিপূর্বে জেএমবি আজিজ ও কুখ্যাত দালাল আশরাফুল ১৪/১৫ দিন আগে স্থানীয় বাকাল আঞ্চলিক যুবলীগ অফিসে হামলা চালিয়ে অফিস ভাংচুর করে। সেসময় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ” এদিকে গতকালের ঘটনায় সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ সদর হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান এবং নক্কুর অবস্থা আশংকাজনক থাকায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার অগ্রগতি না হলে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। পৌর যুবলীগ সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু বলেন, ‘বাঁকাল আঞ্চলিক যুবলীগ কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তুতি সভায় জামাত-শিবির ক্যাডারারা অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে যুবলীগের ২০জন আহত হয়েছে। একজন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ” উল্লেখ্য, দেশব্যাপী ২০০৫ সালে জেএমবির সিরিজ বোমা হামলা মামলার অন্যতম আসামি কানা আজিজের নেতৃত্বে লাভলু, আশরাফসহ ১৫/২০ এলাকায় নিয়মিত সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় যুবলীগ নেতৃবৃন্দের অভিযোগ।