বিনোদন

তারকা বনে গেছেন ঈশ্বরী

By Daily Satkhira

August 16, 2018

বিনোদন সংবাদ: মাত্র ২৩ বছর বয়স। এর মধ্যেই তারকা বনে গেছেন ভারতের ঈশ্বরী পাতিল। তিনি জানেন, কী করে ফিটনেস ধরে রাখতে হয়। খাদ্য ও ব্যায়াম পরামর্শ কেন্দ্র চালান তিনি। শিক্ষা দেন ফিটনেসের। জিমের ঈশ্বরীর নিত্যনতুন উদ্ভাবনে অনেকেই তাঁর দ্বারস্থ হচ্ছেন। ফিটনেস ট্রেনিং দিয়েই বনে গেছেন বিশ্বে ক্ষমতাশালী নারীদের একজন।

ঈশ্বরী পাতিল ই-মেইলেও ফিটনেস ও স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে পরামর্শ দেন। ঈর্ষণীয় শরীর কাঠামো ঈশ্বরীর। অনেকেই এ কারণে তাঁর ভক্ত। ঈশ্বরী মনে করেন, কেউ যদি ঈর্ষণীয় বডি ফিটনেস চান, তবে তাঁকে অবশ্যই যোগব্যায়াম সঠিকভাবে শিখতে হবে। ভুলভাল করলে চলবে না। বরং হিতে বিপরীত হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সচল ঈশ্বরী পাতিল। কারণ হিসেবে জানান, তিনি চান যোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হোক। যোগের ভালো ফল সম্পর্কে জানুক সবাই। এ কারণে তিনি ছবি শেয়ার করেন। পরামর্শ দেন। আকর্ষণীয় জায়গায় তিনি যোগরত আসনের ছবি তোলেন। প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম পরিবেশে যোগদৃশ্য দেখে চোখে তৃপ্তিও আসে। সৌন্দর্যেরও কমতি নেই ঈশ্বরীর। একেবারে রূপে-গুণে অনন্যা।

নিজের যোগব্যায়ামের একটি ছবির ক্যাপশনে ঈশ্বরী লিখেছেন : এটা হবে! তোমার স্বপ্ন তোমার ভেতরেই আছে। ভয় দূর করো, মত প্রকাশে দ্বিধা রেখো না। আর অবশ্যই নিজের প্রতি আস্থা রেখো। অবিশ্বাস্য জীবন সৃষ্টির মন্ত্র তোমার ভেতরেই আছে।

ঈশ্বরী মনে করেন, যোগ কাউকে বদলে দেয় না, যোগ কাউকে হয়ে উঠতে সহায়তা করে। ইনস্টাগ্রামে অনুসরণকারী যারা, তাদেরকে নিয়েই তাঁর পরিবার। যেসব মানুষ ফিটনেস ভালোবাসেন, তিনি তাদের আত্মীয়।

ঈশ্বরী বলেন, ‘সাহসের সত্যিকার অর্থ হলো ভীত হওয়া এবং যখন তোমার হাঁটু কাঁপবে এবং হৃদয় দৌড়াবে, যেভাবেই হোক দৌড় দাও। দৃঢ় পদক্ষেপই একমাত্র পথ সত্যিই অর্থে এগিয়ে যাওয়ার। আর এটাই তোমার লক্ষ্য।’ এই বাণী তাঁর হৃদয়ে গাথা আছে।

জীবনযাপনেও সচেতন হতে উৎসাহ দেন ঈশ্বরী। বলেন, এমন জীবনযাপন করো যা তোমাকে সুখী করে তোলে। জীবনের সবখানেই ফিট হওয়ার মন্ত্র জপার পরামর্শ তাঁর।

ভক্তদের উদ্দেশে ঈশ্বরী বলেন, ‘প্রত্যেককে আমার ধন্যবাদ, যারা আমাকে ভালোবাসা ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। আমি আপনাদের সময় ও মনোযোগকে সম্মান করি।’ ঈশ্বরী শুধু শারীরিক ফিটনেসের দিকেই মনোযোগী নন। তিনি পোশাক ও ফ্যাশনের প্রতিও মনোযোগী। সব মিলিয়েই ফিট ঈশ্বরী। ‘একবার আমি যখন দৌড়াই, অনেক ভূতুরে বিষয় আমাকে তাড়া করে। আমি একটা কিছু খুঁজি আর আমার ব্যথিত আত্মাকে মুক্ত করি।’ তিনি মনে করেন, ভেতরের প্রশান্তিই সব। আর এর জন্য মানুষকে শুরু করতে হবে। যোগ সেই প্রশান্তি দেয়। ধ্যানস্থ করে।