প্রেস বিজ্ঞপ্তি: প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে সচেতন মূলক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, জাতীয় অন্ধ সংস্থার সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী সদস্য রেহেনা পারভীন, সভানেত্রী নুর জাহান খাতুন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আসাদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলী, কালিগঞ্জ থানা প্রতিনিধি মোঃ গোলাম রব্বানী, দেবহাটা থানা প্রতিনিধি আকবার আলী, আব্দুস সাত্তার, জাহিদ হোসেন, জামাত আলী সহ সংস্থার নেতৃবৃন্দ। সভায় বক্তারা বলেন, গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে ২ হাজার কেজি চাউল জেলা প্রশাসকের ত্রাণ শাখা থেকে একটি স্বার্থান্বেষী মহল অবৈধভাবে উত্তোলন করে নিয়েছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে সড়ক অবরোধ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা করেন নেতৃবৃন্দ। বক্তারা আরো বলেন, আমরা প্রতিবন্ধী। আর বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের প্রতি খুব আন্তরিক। তিনি প্রতিবন্ধীদের জন্য মাসিক ৭শ টাকা করে সম্মানি ভাতা দিচ্ছে। কিন্তু বর্তমান বাজারে সেই অল্প টাকায় সংসার পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য মাসিক ৩ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ দেওয়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানান। পৌর এলাকায় কোনো প্রতিবন্ধীকে ভিজিএফ কার্ড প্রদান করা হয়নি। অথচ সরকার সকলের জন্যই বরাদ্ধ দিয়েছেন। যারা কার্ড পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে যেন কার্ড দেওয়া হয় সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের প্রতি আহবান জানান। বক্তারা আরো বলেন, বর্তমানে একটি কুচক্রি, স্বার্থান্বেষী মহল সাতক্ষীরা জেলা প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতি ও জাতীয় অন্ধ সংস্থা ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অনেকেই প্রতিবন্ধী না হয়েও প্রতিবন্ধী সেজে সংগঠনকে ধ্বংস করার পায়তারা করে স্বার্থ হাসিল করার চেস্টা করছে। এসকল দোষীদের থেকে সজাগ থাকতে এবং তাদের চিহিৃত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান প্রশাসন সহ উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে। সমাবেশ শেষে প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে জেলায় মোট ৪শ জন প্রতিবন্ধীকে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সেমাই, চিনি ও সোয়াবিন তেল প্রদান করা হয়।