কালিগঞ্জ

চেক প্রতারণার মামলায় নলতার কুখ্যাত ডুয়েল এখন কারাগারে

By daily satkhira

August 18, 2018

 

তরিকুল ইসলাম লাভলু : অনেকেরই কাছে ত্রাসের নাম ডুয়েল। বিএনপি নেতা মৃত ওয়াজেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে এই সাইফুল ইসলাম ডুয়েল (৪৮)। খুলনা নিরালার বাসিন্দা হলেও জন্মস্থান সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার কাজলায়। সখিপুর ডেলটা ফিস এর প্রোফাইটরও ছিল এই ডুয়েল। যেখান থেকে শতশত শ্রমিক ও ব্যবসায়ী সর্বশান্ত হয়েছে। আর মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ডেলটা ফিস পরিত্যক্ত করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে উল্টো বিপাকে ফেলানোর অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। খুলনা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিভিন্ন কোম্পানির ব্যবসা চলে। তার বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাকে যৌথবাহিনী ও সেনাবাহিনী আটক করে বলেও জানা যায়। সাইফুল ইসলাম ডুয়েল একইভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে দেবহাটার মাটিকোমরা গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আনারুল ইসলামকে। নলতা আহছানিয়া ফিসের প্রোপাইটর আনারুল ইসলাম ডুয়েলের কোম্পানিতে মাছ দেয়। লেনদেনের এক পর্যায় ২০১৬ সালের ১লা ডিসেম্বর ডুয়েল আনারুল ইসলামকে ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক দেয়। ন্যাশনাল ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার চেকটির নাম্বার ঘউঈ/ই- ৫৮৩৩১৮৬। পরবর্তিতে টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে গেলে ঐ হিসাবে টাকা নেই বলে জানতে পারে আনারুল ইসলাম। এরপর আনারুলকে টাকা না দেওয়ার ফন্দি এঁটে উল্টো আনারুলকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে ডুয়েল। কিন্তু তার সব প্রতারণা ও ফন্দি ব্যর্থ হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারী ডিসঅনার করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে আনারুল ইসলাম আদালতের স্বরণাপন্ন হলে ডুয়েলকে প্রথমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু সে বিষয়টি কোন তোয়াক্কা করেনি বলে জানা যায়। তারপর ১৭ সালের ২০ এপ্রিল নিগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারার বিধান মোতাবেক সাতক্ষীরা জজকোর্টে মামলা দায়ের করেন বাদী আনারুল ইসলাম। মামলা চলাকালেও আসামী ডুয়েল কয়েকবার আদালত অবমাননা করেছে বলেও জানা গেছে। সর্বশেষ ১৭ আগস্ট বৃহঃবার ধূর্ত ডুয়েল আদালতে হাজির দিলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এদিকে আনারুল ইসলাম আদালতের বিচারের উপর নির্ভর করে অর্থ ফেরতের প্রত্যাশা কামনা করছে বলেও জানান তিনি।