খেলার খবর: ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, রাগবির মতো এবার থেকে টেনিসেরও বিশ্বকাপ উন্মাদনা শুরু হচ্ছে। বিশ্বকাপ ফুটবলের রেশ কাটতে না কাটতেই চলতি বছর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে টেনিসের বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা জেতা জেরার্ড পিকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকির মতো টেনিস খেলাতেও বিশ্বকাপ চালুর প্রস্তাব করেন। যদিও কাগজে-কলমে না হলেও টেনিসের বিশ্বকাপ আগে ছিল। ডেভিস কাপ নামে। এবার সেই ডেভিস কাপের নিয়মেই টেনিস বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। বার্সেলোনার ফুটবলার জেরার্ড পিকের মালিকানাধীন কসমস গ্রুপ এই নতুন উদ্যোগে বিনিয়োগ করছে। ডেভিস কাপ থেকে অনেকটাই আলাদা এই নতুন টুর্নামেন্ট। নতুন টুর্নামেন্ট নিয়ে আশাবাদী আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি ডেভিড হ্যাগার্টি। তার বক্তব্য, নতুন এই টেনিস বিশ্বকাপে বিনোদন থাকবে বেশি। ফলে টুর্নামেন্ট হবে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। ১৯০০ সালে ডেভিস কাপের জন্ম। প্রথমে টুর্নামেন্টটি ‘আন্তর্জাতিক লন টেনিস চ্যালেঞ্জ’ নামে পরিচিত হলেও ১৯৪৫ সাল থেকে একে ডেভিস কাপ নামে ডাকা হয়। একে টেনিসের বিশ্বকাপ নামেই চেনে সবাই। মাত্র দুটি দেশ থেকে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা এখন একশো ছাড়িয়েছে। সেই ডেভিস কাপই নতুন করে শুরু হচ্ছে টেনিস ওয়ার্ল্ড কাপ নাম দিয়ে। মোট দেশের সংখ্যা হবে ১৮। এই ১৮ দল নির্বাচিত হওয়ার পদ্ধতিটাও একটু অন্যরকম। আগের বছরের চার সেমিফাইনালিস্ট সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে। তার সঙ্গে বাছাইপর্ব থেকে কোয়ালিফাই করা হবে ১২টি দল। সেই সঙ্গে দুটি দল পাবে ওয়াইল্ড কার্ড। ১৮ দলকে ছয় গ্রুপে বিভক্ত করা হবে।
৬ গ্রুপ সেরা ও ২ সেরা রানার্সআপ মিলে হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। সেখান থেকে নকআউট ভিত্তিতে নির্বাচিত হবে বিশ্বকাপের সেরা চার দল, যারা নিশ্চিত করবে পরের বছরের বিশ্বকাপ। এক-একটি ম্যাচ হবে তিন সেটের। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে টেনিসের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে।