অনলাইন ডেস্ক: চলতি বছরের শেষ নাগাদ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অক্টোবরের শেষে তফসিল ঘোষণা করার কথা। সেই বিবেচনায় এখন থেকেই রাজনৈতিক নেতারা অনানুষ্ঠানিকভাবে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ওপর সামনে কোরবানি ঈদ। এই সুযোগকে কাজে লাগতে চান আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ নেতাকে এবারের ঈদ নিজ নিজ এলাকায় করার মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে। ফলে বেশিরভাগ নেতাই কোরবানি ঈদ তাদের এলাকায় উদযাপন করবেন। তারা জানিয়েছেন, শীর্ষ পর্যায় থেকেও ঈদকে কেন্দ্র করে এলাকার ভোটারদের মন জয় করার একটি নির্দেশনা রয়েছে। ঈদকে জনগণের কাছে যাওয়া এবং তাদের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচানো একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। কারণ সব ভেদাভেদ দূরে করতে ঈদ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এসব দিক বিবেচনা করে এবার আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ মনোনয়ন প্রত্যশী নেতাই ঈদুল আজহা এলাকায় উদযাপন করবেন। একই উদ্দেশ্যে ঈদুল ফিতরও তারা এলাকায় কাটিয়েছেন। তবে ঈদুল আজহাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নির্বাচনের আগে শেষ ঈদ বলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক কেন্দ্রীয় নেতা, বর্তমান সংসদ সদস্য ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এরই মধ্যে এলাকায় চলে গেছেন। কেউ কেউ যাওয়া আসার মধ্যে রয়েছেন। অনেক নেতা পরিবার-পরিজন নিয়েও এলাকায় যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘দলের সব এমপি, মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় সব নেতাকে যার যার এলাকার ঈদ উদযাপন করতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ঈদ। ফলে গণসংযোগ করতে এই ঈদ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সবাইকে অবহিত করা হয়েছে।’ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এবারের ঈদে এলাকার মানুষকে সময় দেওয়ার জন্যে একটি মৌখিক নির্দেশনা রয়েছে। নির্বাচনের আগে এ ধরনের বিশেষ উপলক্ষ আর পাওয়া যাবে না। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে সবার এলাকার মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সরকারের বিরুদ্ধে যেসব ষড়যন্ত্র চলছে, সে সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এবং সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতে বলা হয়েছে।’ আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর চারজন নেতা বলেন, ঈদ উৎসবে সবাই নিজ গ্রামে যাবে। বিশেষ করে ঈদের ছুটি যতদিন থাকবে ততদিন বর্তমান সংসদ সদস্য, মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। এসময় পাড়া-মহল্লায়, গ্রামে-গঞ্জে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে উঠান বৈঠক করে সরকারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানাবে। আগামী নির্বাচনে কেন আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়া উচিত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হবে এসব কথা উঠান বৈঠকগুলোয় তুলে ধরতে বলা হয়েছে। দলের নারী নেতাদের অনুরূপ কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এটি শেষ ঈদ হওয়ায় এলাকার মানুষের সঙ্গে সময় দেওয়ার জন্যে এই নির্দেশনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের ও সরকারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য মানুষের কাছে তুলে ধরতে নেতাকর্মীদের যত বেশি সম্ভব এলাকায় সময় দিতে বলা হয়েছে।’