খেলা

কাতারকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ

By Daily Satkhira

August 19, 2018

খেলার খবর: অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটলো বাংলাদেশের ফুটবলে। তারা যে এশিয়ান গেমসের নকআউটে! উজবেকিস্তানের কাছে হারের পর থাইল্যান্ডের সঙ্গে এগিয়ে গিয়েও ড্র করে গ্রুপের বাধা পার করার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ। আর সেটা বাস্তব হয়েছে কাতারের বিপক্ষে ইনজুরি সময়ের গোলে। রবিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ১-০ গোলে কাতারকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে লাল-সবুজ দল। তাতে উজবেকিস্তানের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোতে উঠেছে। দিনের আরেক ম্যাচে উজবেকিস্তান ১-০ গোলে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট তাদের। থাইল্যান্ড তিন ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়, আর কাতার পেয়েছে কেবল ১ পয়েন্ট।

আগামী ২৪ আগস্ট ‘এফ’ গ্রুপের রানার্সআপ দলের বিপক্ষে শেষ ষোলোতে খেলবে বাংলাদেশ, যে গ্রুপের চার দল সৌদি আরব, ইরান, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়া।

শুরু থেকে বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্টের পর দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে গড়ানো শটে গোল করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। প্যাট্রিয়ট চন্দ্রভাগা স্টেডিয়ামে কাতার-বাংলাদেশের লড়াই ড্রর দিকে যাচ্ছিল। জেমি ডের দলের কানে বাজছিল বিদায় ঘণ্টা। ডাগ আউটে যখন কোচ উৎকন্ঠায়, তখনই অধিনায়ক উদ্ধার করেন দলকে। মাশুক মিয়া জনির পাস ধরে, ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে কাতারের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই বাংলাদেশ গোল পেতে পারতো। আগের ম্যাচের গোলদাতা মাহবুবুর রহমান সুফিল একাই দুটো সুযোগ নষ্ট করেন। ৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি এই তরুণ ফরোয়ার্ড, বল গোলবারের পাশ দিয়ে যায়। ১৭ মিনিটে আবারও সুবর্ণ সুযোগ হারাতে হয়েছে। গোলরক্ষককে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি সুফিল। বল পোস্টে যাওয়ার আগে তাকে রুখে দেন কাতারের গোলরক্ষক।

কাতার বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থেকে ২১ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করে। আল সাদির ফ্রি কিক গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান। বিরতির পর কাতার গোলের খোঁজে হয়ে ওঠে মরিয়া। মুস্তফার বাঁ পায়ের শট গোলরক্ষক রানা ডাইভ দিয়ে রুখে দেন। কাতারের আরও কয়েকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রতি আক্রমণ নির্ভর খেলে এই অর্ধেও গোলের সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক জামাল সফল।

এশিয়ান গেমস ফুটবলে বাংলাদেশের এটি চতুর্থ জয়, ২৬ ম্যাচ খেলে। আর এমন জয়ের পর শেষ বাঁশি বাজতেই লাল-সবুজ দলের উল্লাস ছিল দেখার মতো। তারা যে শুধু মাঠে উল্লাস করেছে তা নয়। এই উচ্ছ্বাসের রেশ ছিল ড্রেসিংরুমেও। কোচ খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা মিলে ‘বাংলাদেশ..বাংলাদেশ’ বলে গলা ফাটিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ফুটবলের বাইরে থাকা সিনিয়র খেলোয়াড়রাও। ডিফেন্ডার ওয়ালি ফয়সাল তো গানই গাইলেন। তার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন সুফিল-আব্দুল্লাহরা।