খেলার খবর: জয় দিয়েই লা লিগায় অভিযান শুরু করল রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে গেটাফেকে ২-০ গোলে হারাল বেল-বেঞ্জেমারা। কিন্তু রোনালদোহীন রিয়ালের ম্যাচে স্যান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়াম ছিল অর্ধেক দর্শকশূন্য। কোন কোনও ব্যক্তি থাকেন, যারা একক দক্ষতায় দলের থেকেও বড় হয় ওঠেন। তখনই হয়তো তাদের মহাতারকা বলা হয়। তেমনই কিছুটা যেন দেখা গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে। রবিবার রোনালদোহীন রিয়ালের ম্যাচে স্টেডিয়াম অর্ধেকও ভরল না। লা লিগায় প্রথম ম্যাচে রিয়ালের ঘরের মাঠ স্যান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চোখে পড়ার মত দর্শক কম হল। রবিবার গেটাফের বিরুদ্ধে ম্যাচটাই ছিল লা লিগায় রোনালদোহীন রিয়াল মাদ্রিদ যুগের শুরু। রোনালদোকে ছাড়া ২-০ গোলে জিতলেও, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের ম্যাচে গত দশ বছরে এত কম দর্শক হয়নি। রবিবার সবচয়ে কম দর্শক হল স্যান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। শেষবার রিয়ালের ম্যাচে এত কম লোক হয়েছিল ২০০৮-০৯ মৌসুমে। সেই সময় অবশ্য টানা পাঁচ ম্যাচ হারায় গুরুত্বহীন শেষ খেলায় দর্শকরা সেভাবে মাঠে আসেননি। সেবারই এল ক্লাসিকোয় বার্সেলোনার কাছে ৬-২ গোলে হারে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু এবার চ্যাম্পিয়ন লিগ জেতার তকমা নিয়ে মাঠে নেমেও দর্শক হল না। ৯ বছর পর রোনালদোর রিয়াল ছাড়াটা যে সমর্থকরা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি, তারই স্পষ্ট প্রমাণ মিলল। রোনালদো ও কোচ জিদান ছাড়া রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগায় প্রথম ম্যাচে অবশ্য ভালই খেলল। ১৯৮৪ সালের পর থেকে ঘরের মাঠে লা লিগার প্রথম ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ কখনও হারেনি৷ সুপার কাপে অ্যাটলেটিকো ডি মাদ্রিদের কাছে হারের পরও অবশ্য সেই ধারা বজায় রাখলেন গ্যারেথ বেলরা। ২০ মিনিটে কারভাহালের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। ৫১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন গ্যারেথ বেল। শুধু রিয়াল মাদ্রিদ নয়, রোনালদো না থাকায় লা লিগারও আকর্ষণ যে কমেছে সেটা ভাল মতোই বোঝা যাচ্ছে। রোনালদো ছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের পারফরম্যান্সে কতটা প্রভাব ফেলে, সেটা অবশ্য বোঝা যাবে আগামী দিনে।