আশাশুনি

আশাশুনি টু ঘোলা সড়কের বেহাল দশা

By daily satkhira

August 20, 2018

আশাশুনি ব্যুরো : সাতক্ষীরা টু আশাশুনি ভায়া কোলা-ঘোলা পর্যন্ত প্রধান সড়কটি চলাচলে অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। এ সড়কটি আগষ্ট/সেপ্টেম্বরে টেন্ডারের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩/৪ মাসের ভিতরেই কাজ শুরু হবে বলে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে জানাগেছে। ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২ কিঃ মিঃ রাস্তাটি সংস্কার হলে আশাশুনির ব্যবসা বানিজ্য সহ সর্বসাধারণের মনে আনন্দ ফিরে আসবে। দীঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিনত হওয়া ৪২ কিঃ মিঃ রাস্তার বেশিরভাগ অংশই যেন এখন মরন ফাঁদ। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার লোক আশাশুনি, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর ও সাতক্ষীরা জেলা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে থাকে। সড়কটিতে যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস, ট্রাক, নছিমন, করিমন, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল সহ প্রভৃতি যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়ক সংলগ্ন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মধ্যে রয়েছে আশাশুনি বাসস্ট্যান্ড, হাড়িভাঙ্গা বাজার ও মৎস্যসেট, মহিষকুড় মৎস্যসেট, নাকতাড়া-কালিবাড়ী বাজার, মাড়িয়ালা মৎস্য সেট ও হিজলিয়া বাস স্ট্যান্ড ও হাট। এসব বাজার ও মৎস্য সেটে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার বেঁচাকেনা হয়ে থাকে। সড়কটি ব্যবহার করেই ব্যবসায়ীরা দক্ষিণাঞ্চলের সাদা-সোনা খ্যাত চিংড়ী মাছ সহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকে। সড়কটির উপর দিয়েই এ অঞ্চলে উৎপাদিত লক্ষ লক্ষ টন চিংড়ী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো সহ বিদেশেও রপ্তানী হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব অর্জন করে থাকে। ফলে এটি উপজেলার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ৪২ কিঃ মিঃ এ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। সড়কটিতে যানবাহনে চলাচলের দূর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকে পায়ে হেটে চলাকে নিরাপদ মনে করছে। কিন্তু বাস্তবে সেটি সম্ভব না হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা জানান, আশাশুনি টু কোলা ঘোলা পর্যন্ত ১৮ কিঃ মিঃ রাস্তার ভিতর নাকতাড়া কালিবাড়ী বাজার থেকে কলিমাখালী পর্যন্ত পৌনে ৩ কিঃ মিঃ রাস্তার এবছর কার্পেটিং করা হয়েছে। এছাড়া হাড়িভাঙ্গা মৎস্য সেট সংলগ্ন ও নাকতাড়া মসজিদ সংলগ্ন সড়কে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইটের সোলিং করা হয়েছে। আগষ্ট সেপ্টেম্বরে টেন্ডারের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩/৪ মাসের ভিতর কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।