জাতীয়

রাশেদসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ১০ শিক্ষার্থীর কারামুক্তি

By Daily Satkhira

August 21, 2018

দেশের খবর: কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মাদ রাশেদ খানসহ ১০ শিক্ষার্থী কারামুক্ত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা। এর আগে গতকাল নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের জের ধরে করা মামলায় গ্রেপ্তার রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ৩১ শিক্ষার্থীসহ ৩৩ জনকে জামিন দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভিন্ন ভিন্ন আদেশে এই জামিন দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, গতকাল রাশেদসহ জামিন হওয়াদের আইনজীবীরা জামিননামা (বেইলবন্ড) দাখিল দেন। সে বেইলবন্ডে বিচারক স্বাক্ষর করার পর আদালতের ডেসপ্যাচ (আদান-প্রদান) শাখার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আজ রাশেদসহ ১০ আসামি মুক্তি পেয়েছেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। তবে আজ কারাগার থেকে অনেক আসামি জামিনে মুক্তি পাবেন বলে অন্য শিক্ষার্থীদের মুক্তি পাওয়ার কিছু সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত ১৩ শিক্ষার্থী নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় সংঘাত, ভাঙচুর, উসকানি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের গত রবিবার আদালত জামিন দিয়েছেন। জামিনের পর রবিবার সন্ধ্যার পর ৯ আসামিকে কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি দেওয়া হলেও জামিনের কাগজ না পৌঁছায় থেকে যান ১৩ শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার পৃথক সময়ে তাঁদের জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছলে তাঁরাও মুক্তি পান।

গতকাল সোমবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে কারাগার থেকে মুক্তি পান ৯ জন। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় মুক্তি পান অন্য চারজন। সকালে মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন—ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালিদ রেজা, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আজিজুল করিম, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহিদুল হক ও নূর মোহাম্মদ, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেদওয়ান আহমেদ, রাশেদুল ইসলাম, শাখাওয়াত হোসেন, তরিকুল ইসলাম এবং আইইউবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিহাব শাহরিয়ার।

বিকেলে মুক্তি পাওয়ারা হলেন—রিসালাত ওরফে ফেরদৌস, সাবের আহমেদ, আমিনুল হক ও বায়েজিদ আদনান। এ নিয়ে মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ জনে দাঁড়াল।

কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদুল আলম জানান, মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে ২২ জনকে কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জে প্রেরণ করা হয়েছিল। আদালত থেকে গত দুই দিনে জামিনের কাগজ এসেছে ২২ জনেরই। আদালত থেকে জামিনের কাগজপত্র আসার পর ২২ জনকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।