খেলা

ওমানকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুরু

By Daily Satkhira

August 22, 2018

খেলার খবর: বাংলাদেশ প্রথম দুই কোয়ার্টারে বেশ নিয়ন্ত্রিত হকিই খেলেছে। ১৪ মিনিটে আরশাদ হোসেনের ফিল্ড গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। ২৩ মিনিটে (দ্বিতীয় কোয়ার্টারের ৯ মিনিট) পেনাল্টি কর্নার থেকে আল শাবিবি গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন। পাঁচ মিনিট পর আবার বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন হকির উদীয়মান তারকা আশরাফুল ইসলাম। পেনাল্টি কর্নার থেকেই গোল করেন বাংলাদেশের নতুন পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট। দ্বিতীয় কোয়ার্টার শেষ ২-১-এ।

অগ্নিপরীক্ষাই ছিল ম্যাচটা। তাতে পাস বাংলাদেশ। ওমানকে ২-১ গোলে হারিয়ে এশিয়ান গেমসে শুরু হলো হকির অভিযান। আম্পায়ারের শেষ বাঁশির পরই চতুর্থ এশিয়াড খেলতে নামা মাহমুদুর রহমান চয়নকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস। হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেকও যোগ দিলেন তাঁদের সঙ্গে। গত কয়েক বছরে ওমানই বাংলাদেশের হকিতে বড় বাধা। ২০১৩ সালে দিল্লি ওয়ার্ল্ড হকি লিগের পর ওমানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়ে ওমানের বিপক্ষে টানা তিন হার ছিল বাংলাদেশের। জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে অবশেষে জয়। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা আর হকির কর্তারা সুখস্মৃতি ধারণ করে রাখলেন ওমানকে হারানো দলের সঙ্গে ছবি তুলে।

বাংলাদেশ প্রথম দুই কোয়ার্টারে বেশ নিয়ন্ত্রিত হকিই খেলেছে। ১৪ মিনিটে আরশাদ হোসেনের ফিল্ড গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। ২৩ মিনিটে (দ্বিতীয় কোয়ার্টারের ৯ মিনিট) পেনাল্টি কর্নার থেকে আল শাবিবি গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন। পাঁচ মিনিট পর আবার বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন হকির উদীয়মান তারকা আশরাফুল ইসলাম। পেনাল্টি কর্নার থেকেই গোল করেন বাংলাদেশের নতুন পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট। দ্বিতীয় কোয়ার্টার শেষ ২-১-এ। এরপরের দুই শেষ কোয়ার্টারে ওমান চেপে ধরেছিল বাংলাদেশকে। তবে টানা তিনটি পেনাল্টি কর্নার আদায় করেও গোল করতে পারেনি তারা।

রাসেল মাহমুদ জিমি ওমানের ম্যাচটিকে অস্তিত্বের সংকট হিসেবেই দেখছিলেন, ‘টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে ওমানকে হারানো প্রয়োজন ছিল। যেকোনো আসরে জয় দিয়ে শুরু করাটা জরুরি। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। ওমানকে হারিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। ওমানের বিপক্ষে একটা জয় জরুরি ছিল। সেটি হয়েছে বলে দলের সবাই খুশি। ওমান আমাদের অলিখিত শত্রুতে পরিণত হয়েছে। আজ (গতকাল) তাদের হারানোর পর মনে হয় সবার মনের অস্থির ভাব কেটে গেছে।’

৬, ৭ ও ৮ মিনিটে ওমান পিসি পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি ফাজারি রশিদ। এতে অবদান ছিল কিপার নিপ্পনের। দুর্দান্ত তিনটি সেভ করেন তিনি। চতুর্থ কোয়ার্টারে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ফরহাদ হোসেন শিটুল বাহিনী তিনবার আক্রমণে ওঠে। সমানে লড়েছে ওমানও। সমতায় ফেরার তিনটি সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা। কিন্তু দিনটি বাংলাদেশের। তাই হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ওমানকে।

বাংলাদেশের রক্তচাপ সবচেয়ে বেশি বাড়িয়ে দিয়েছিল তৃতীয় ও চতুর্থ কোয়ার্টারের শেষ ১০ মিনিট। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে গোলের জন্য মরিয়া ছিল ওমান। কিন্তু গোলরক্ষক নিপ্পনের দৃঢ়তায় সমতায় আসতে পারেনি ওমান। পাঁচটি করে পিসি পায় দুই দল। কাজে লাগায় একটি করে। তাই জিতেও কোচ গোপীনাথান কৃষ্ণমূর্তি ভাসছেন না উচ্ছ্বাসে, ‘জিতে গেমস শুরু করাটা ইতিবাচক। ওমানকে হারানোটা টুর্নামেন্টে সামনে পথ চলতে সুবিধা হবে। জয়টা সন্তুষ্টির, তবে পারফরম্যান্স ও স্কোরলাইনে অতৃপ্তি রয়েছে।’ শেষ কোয়ার্টার নিয়েই কৃষ্ণমূর্তির অতৃপ্তি বেশি, ‘আমরা শেষ দিকে অনেক পেনাল্টি কর্নার দিয়ে ফেলেছি। ওমান ম্যাচে আবার সমতা আনতে পারত।’ গোপীর পাশের ডাগ আউটে ছিলেন সাবেক তারকা তাহির জামান। ওমান জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক এই পাকিস্তানি খেলোয়াড়। ঢাকা লিগে খেলা তাহির জামানের চোখে বাংলাদেশের উন্নতি ধরা পড়েছে, ‘বাংলাদেশের এ দলটি বেশ সংগঠিত। নতুন কোচের অধীন তারা উন্নতি করেছে অনেক।’