পলাশ দেবনাথ নুরনগর : শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের ছোট শ্যামনগর গ্রামে যৌতুকের দাবীতে এক গৃহবধুকে অমানবীক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রে জানা যায় ৭বছর পুর্বে বিবাহ হয় ছোট শ্যামনগর গ্রামের আব্দুর রহিমের কন্যা রওশানারা খাতুনের সাথে দুরমুজখালী গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে ফয়সাল হেসেনের। রওশানার খাতুনের দুইটি পুত্র সন্তান আছে। বিবাহের পর থেকে সাংসারিক জীবন ভাল চলছিল না তাদের। অত্র এলাকার জনপ্রতিনিদিদের ভাষ্যমতে তাদের সাংসারিক গোলযোগ নিয়ে কয়েক বার গ্রাম্য শালিস বসিয়ে এত দিন যাবত চলছে তাদের সংসার। হঠাৎ গত বুধবার ঈদুল আযহার দিন রওশানার পিতা জামাই মেয়ে দাওয়াত করলে দাওয়াতে আসে তারা এবং দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর রওশানারা মাধ্যমে তার পিতার কাছে যৌতুকের দাবী করে। কিন্তু রওশানার পিতা দরিদ্র হওয়ায় পিতার কাছে যৌতুকের কথা বলতে পারিনি সে। এই জন্য শোশুরের বাড়িতেই জামাই ফয়সাল তার বউকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। এমতাবস্থায় রওশানারার পিতা দিশা কুল না পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যা আছিয়া বেগমকে জানান। সাথে সাথে ইউপি সদস্যা আছিয়া বেগম ঘটনা স্থলে আসেন। এবং ফয়সালকে শ্যামনগর থানা পুলিশে সপর্দ করেন। তার পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষনিক নির্যাতনের শিকার রওশানারা খাতুনকে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই সন্তানের জননী রওশানারা এখন উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। পরিবারের সদস্যরা জানায় এবিষয় মামলার প্রস্তুতি চলছে।