স্বাস্থ্য কণিকা: কোরবানির ঈদে কমবেশি আমাদের সবাই মাংস খেয়ে থাকে। কোরবানির ঈদে আপনি চাইলেও মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন না। কারণ এ সময় সবার ঘরেই খাবারের তালিকায় থাকে গরু বা খাসির মাংস। ঈদে অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার কারণে দেখা গেল সারা বছরের ডায়েট ভেস্তে গিয়েছে। বেড়েছে ওজন । ওজন কমাতে হলে অবশ্যই নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে।নিজের যেমন সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পরিবার ও সন্তানদের শরীর-স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। আসুন জেনে নেই ঈদের পর অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে কী করবেন? বোরহানি-কোমলপানীয় মাংস, খিচুড়ি আর বোরহানি-কোমলপানীয় যা–ই খান না কেন, অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।এছাড়া চেষ্টা করুন দিনে ভারী খাবারের পাশাপাশি ফলজাতীয় খাবারের পরিমাণ যেন বাড়ানো যায়। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। বাড়ির ছোট শিশুরা যেন পরিমাণমতো পানি পান করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। মাশরুম মাশরুম দিয়ে মাংস রান্না করলে মাংসের চর্বি কেটে যায়। সে ক্ষেত্রে মাংস রান্নার সময় মাশরুম ব্যবহার করুন। হাঁটাচলা ছুটির সময়ে খাওয়ার পরেই সোফায় গা এলিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় হারিয়ে যায় অনেকে। স্বাভাবিক নিয়মে হাঁটাচলা করে নিয়মমাফিক চেয়ার বা সোফায় বসে টেলিভিশন দেখুন। খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করার অভ্যাস করুন। এ সময়টাই লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে চলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সকালে ঘুম থেকে উঠুন ঈদের পর কাজের ব্যস্ততা কম থাকে বলে অনেকেই দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। চেষ্টা করুন বছরের বাকি সময়টার মতোই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে। শাকসবজি এ সময় যেহেতু মাংস বেশি খাওয়া হয়, সে জন্য খাবার সঙ্গে প্রচুর সালাদ খান এবং পানি পান করুন। ঈদের সময় বাচ্চারা শাকসবজি খেতে চায় না, সে ক্ষেত্রে ফলের রস আর দই খেতে উৎসাহ দিন তাদের। ধূমপান খাওয়ার পরে অনেকেই ধূমপান করেন। পেট পুরে খাওয়ার পরেই ধূমপান করবেন না।এছাড়া পান-জর্দা খাওয়ার অভ্যাস যাদের আছে, তারা দাতের যত্নে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন। দাঁত ব্রাশ সকাল ও রাতে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করুন। মুখে দুর্গন্ধ যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ব্যায়াম বাড়িতে থেকে টুকটাক ব্যায়াম করুন এ সময়। শরীরে যেন জড়তা ভর না করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ওজনাধিক্য, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনির রোগীদের গরু ও খাসির মাংস খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। হৃদরোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা এড়াতে তৈলাক্ত মাংস কম খাবেন। আট ঘণ্টার বেশি ঘুমাবেন না রাতে ঘুমানোর আগে নিয়ম করে ১৫ মিনিট স্বাভাবিক গতির চেয়ে দ্রুত হাঁটাহাঁটি করুন।কোনোভাবেই আট ঘণ্টার বেশি ঘুমাবেন না। বিছানা ছাড়া সোফা কিংবা অন্য কোথাও ঘুমাবেন না। মাঠা, জিরা পানি বা টক দই কোল্ড ড্রিংকস, ডেজার্টের পরিবর্তে মাঠা, জিরা পানি বা টক দই রাখুন। সর্বশেষ উৎসব-আনন্দে নিয়মিত ওষুধ সেবন যেন বাদ না পড়ে। নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম করা বাদ দেবেন না।বুকজ্বালা আর বদহজম সমস্যা দেখা যেন না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।