নাজমুল শাহাদাৎ (জাকির): সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের ৫ম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, জামায়াত-শিবিরের তথাকথিত ধর্মের নামে সংখ্যালঘুসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কোন ব্যক্তির আঘাত বা নির্যাতন করলে আর সহ্য করা হবে না। তাদের সকল আঘাত ও নির্যাতনের জবাব শক্ত হাতে দেওয়া হবে । চিহ্নিত জামায়াত শিবির ও বি.এন.পির সন্ত্রাসীদের আর এই সাতক্ষীরার মাটিতে কোন সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করতে দেয়া হবে না। যারা আমাদের স্নেহের রবিউল সহ তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের সবাইকে ফাঁসির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে বলে জানান বক্তারা।’ রবিবার বিকালে সদরের খানপুর মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে, খানপুর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ-সম্পাদক ওবায়দুর রহমান মানির সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ-সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-অর-রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ শওকত হোসেন, সাধারণ-সম্পাদক শাহজান আলী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ-সম্পাদক প্রভাষক মঈনুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ-সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম, আকবার আলী, আবুল কালাম, গণেষ চন্দ্র প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আ.লীগসহ তৃণমূলে অবস্থান করা স্বাধীনতার স্বপক্ষের একজনের গায়েও যদি আঘাত আসে তার দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তিতে এক হয়ে কাজ করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানিয়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, নাশকতা বিরোধী সকল প্রচেষ্টাকে রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এসময় বক্তারা আরও বলেন, ২০১৩সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি মানবতা বিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হুসাইন সাঈদীর যাবজ্জীবন রায় কার্যকর হওয়ার পর পরই সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে বি.এন.পি-জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারা এলাকায় ব্যাপক তান্ডবলীলা শুরু করে। তারা সড়কের পাশের গাছ ও সর্বসাধারনের চলাচলের রাস্তা কেটে এলাকাটিকে বিচ্ছিন্ন্ করে ফেলে। অবরুদ্ধ করে ফেলে শিবপুরের সাথে অন্যান্য জায়গার যোগাযোগ। একপর্যায় ২৬ আগস্ট রাত্রে শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ-সম্পাদক রবিউল ইসলামকে সোনাডাঙ্গা রাস্তার ধারে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়াও সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা প্রভাষক মামুন হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা আবু রায়হান, জজ মিয়াসহ জামায়াত-শিবিরের হাতে বহু আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নিহত হয়েছে। বর্তমানে সরকারের প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা এখন শান্ত। কিন্তু এখনও মূল আসামী জামায়াত, শিবির, বি.এন.পির নেতাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনতে পারলে সাতক্ষীরায় আবারও তারা সংগঠিত হয়ে জঙ্গি তৎপরতা চালাতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তারা। একারণে আর যাতে কোন মুক্তিযোদ্ধের স্বপক্ষের কাউকে জামায়াত-শিবির ও বি.এন.পির সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে নিহত না হতে হয় সেকারণে সকলকে এক্যবদ্ধভাবে এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াঁনোর আহ্বান করে বক্তারা রবিউল হত্যার আসামীদের দ্রুত বিচারের জন্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা আজহারুল ইসলাম, আনোয়ার ঢালী, ইব্রাহিম খলিল, শফিকুল ইসলাম, বাবু মহাদেব সরকার, মনোরঞ্জন সরকার, আবুল কাসেম, আব্দুল হাই, হাফিজুর রহমান, তৌহিদুর রহমান, ফজলুর হক, আমিনুর রহমান। আলোচনা সভা শেষে আওয়ামীলীগ নেতা রবিউল ইসলামের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাও. আফসার উদ্দীন।