কলারোয়া ডেস্ক: সদ্য প্রয়াত কলারোয়া প্রিমিয়ার ছাত্রসংঘ’র জনপ্রিয় সাধারণ সম্পাদক আসিফ শাহারিয়ার প্রান্ত (২২) এর জানাজা নামাজ সোমবার দুপুর ২টার সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ওফাপুর ঈদগা ময়দানে অনুষ্ঠিত জানাজা নামাজ পূর্ব আলোচনায় বক্তব্য দেন তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল হামিদ, প্রান্ত’র পিতা প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক ইবাদুল হক, কলারোয়া প্রিমিয়ার ছাত্রসংঘ’র উপদেষ্টা প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক রাশেদুল হাসান কামরুল, উপদেষ্টা ডা. আমানুল্লাহ আমান, উপদেষ্টা ফরিদুজ্জামান ফরিদ খান, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোর্শদ লাল্টুসহ প্রিমিয়ার ছাত্রসংঘ’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক মুসুল্লিগণ। জানাজা নামাজ শেষে সদ্য প্রয়াত তরুণ এই সমাজকর্মীর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন কেেরন তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, প্রিমিয়ার ছাত্রসংঘ’র পক্ষে ছাত্রসংঘ’র উপদেষ্টা প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক রাশেদুল হাসান কামরুল, উপদেষ্টা ডা: আমানুল্লাহ আমান, উপদেষ্টা ফরিদুজ্জামান ফরিদ খান, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোর্শদ লাল্টু প্রমুখ। জানাজা নামাজ শেষে ওফাপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে পুত্রশোকে কাতর প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলামসহ শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তাঁর বাড়িতে ছুটে যান সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও তাঁর সহধর্মিণী শিক্ষিকা নাসরিন খান লিপি। উল্লেখ্য, সকলকে শোক সাগরে ভাসিয়ে আত্মহনের পথ বেছে নিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলো কলারোয়া প্রিমিয়ার ছাত্রসংঘ’র জনপ্রিয় সাধারণ সম্পাদক আসিফ শাহারিয়ার প্রান্ত (২২)। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার ওফাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত প্রান্ত তালার সরুলিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কলারোয়ার ওফাপুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছোট ছেলে। সে শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলো। পারিবারিক সুত্র জানায়- ঈদের ছুটিতে প্রান্ত’র পিতা-মাতা নানার বাড়ি উপজেলার হিজলদী গ্রামে যায় এবং সে সময় প্রান্ত’র বড় ভাই ওফাপুর মোড়ে কোমল পানীয় আনতে যায়। এ সুযোগে প্রন্ত নিজ শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানে ওড়না বেধে গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। সে কলারোয়ার আলোচিত প্রিমিয়ার ছাত্রসংঘ’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছে বলে জানা যায়। তরুণ এ সমাজকর্মী মানবসেবায় তার সবটুকু উজাড় করে দিয়ে ইতোমধ্যে সবার নজর কাড়তে সক্ষম হয়। অসহায়দের সাহার্য্যে কলারোয়ার প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। ছুটে গিয়েছিলো কলারোয়ায় চোখের জ্যোতি হারাতে বসা রাসেলের পাশে। আবার দেশের বন্যার্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সাহায্য উঠিয়ে ছুটে গিয়েছিলো সুদূর কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে। মানুষের জন্য যে প্রাণে ছিলো এত মায়া-মমতা আর ভালোবাসা, সেই প্রাণ কীভাবে আত্মঘাতীতে শেষ হলো সেটির হিসেব মিলছেনা অনেকের কাছে। কী জন্য সে আত্মহত্যা করছে তার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মারুফ আহম্মদ জানান, নিহতের পরিবারের সদস্যদের আবেদনের কথা বিবেচনা করে পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেনের নির্দেশনায় মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে সোমবার সকালে হস্তান্তর করা হয়েছে।