নিজস্ব প্রতিনিধি: এলাকায় একের পর এক বিতর্কিত কাজ করে জনগণকে অতিষ্ঠ করে তোলা আলোচিত ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের মেম্বর রেজাউলের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাল আত্মসাতের মামলাটিও গ্রহণের জন্য দুদকে পাঠিয়েছে পুলিশ। এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান ডেইলি সাতক্ষীরাকে জানান, “নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি গ্রহণের জন্য আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন পাঠিয়েছি”।
এদিকে এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যের কথিত জামাতা পরিচয় দিয়ে গায়ের জোরে এলাকাবাসীর ঘের দখল, এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায়, পুলিশ দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি, এলাকার স্থায়ীন উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রদান, জনগণের মালামাল দেওয়ার নাম করে আত্মসাৎ, সংখ্যালঘু পরিবারকে বিদ্যুতের লাইন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড করে এলাকাবাসীকে অতিষ্ট করে তোলা রেজাউল মেম্বরকে আউনের আওতায় আনায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এলাকাবাসী। নির্বাচনের সময় তার হয়ে যারা কাজ করেছিল তাদের অবমূল্যায়ন। নদীর চর ইজারা নিয়ে স্থানীয়রা চলতো কিন্তু সদর এমপির বলে সেগুলো তাদের কাছ কেড়ে নেয়। স্ত্রী ও ছেলেকে দিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ও স্থানীয় ব্যক্তিদের অবমূল্যায়নের কারণে সবাই তার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল।গরীবের চাল চুরি করে ধানের গোলার মধ্যে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না বহুল আলোচিত ইউপি মেম্বর রেজাউল ইসলামের। তিনি জেলা কৃষকলীগের কথিত হেবিওয়েট নেতাও বটে। ত্রাণের চাল চুরির পর জনরোষে শিকার হয়ে তিনি একটি ধানের গোলার মধ্যে পালিয়ে গণধোলাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানায়, ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ’র ১৩ বস্তা চাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আক্তার হোসেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিকু একাধিক ব্যক্তি জানানা, এমপির কথিত জামাতা হওয়ার কারণে এলাকাবাসি তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলো বিধায় জনরোষ দেখা দেয়। জানা গেছে, রেজাউল মেম্বর স্থানীয় ৩০ জন সংখ্যালঘুর সাথে ঘের ব্যবসায় শুরু করেন। পরবর্তীতে এমপির বলে সকলকে গায়ের জোরে সরিয়ে নিজেই দখল করে নেয়। এদিকে এলাকাবাসী আরো জানান, ইতোপূর্বে এসএম রেজাউল ইসলাম সদরের একজন জনপ্রতিনিধির জামাই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ও ব্যক্তির নিকট থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিল। এছাড়া ওই জনপ্রতিনিধির বিশেষ কোটায় বরাদ্দ থেকে এলাকার শ্মশানঘাট, মন্দির, ভূয়া ক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে। এসব টাকা দিয়ে সে টিন শেডের ঘরে এসি লাগিয়েছে। ঘনঘন নিজের এবং ছেলের মটরসাইকেলের মডেল পরিবর্তন করে লর্ড স্টাইলে চলাফেরা করেন। সূত্র আরো জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বেতনার তীরে সরকারি জমি ইজারা নিয়ে পরবর্তীতে কাগজ টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে জালিয়াতি করে জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করেছেন এই রেজাউল মেম্বর। বেতনার চরও গ্রাস করেছেন মেম্বর রেজাউল ইসলামসহ অন্যরা। তথ্য সূত্র: প্রতদূত অনলাইন।