স্বাস্থ্য

৫ ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা অসম্ভব

By daily satkhira

August 29, 2018

স্বাস্থ্য কণিকা: ক্যান্সারে আক্রান্তকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু তার জন্য রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা খুবই জরুরী। কিন্তু কিছু কিছু ক্যান্সার রয়েছে যেগুলো প্রাথমিক পর্যায় শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব। তাই এসব ক্যান্সারে বেশিরভাগ সময়েই আক্রান্তকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। জেনে নিন তেমনই ৫টি ক্যান্সারের কথা-

১) কিডনির ক্যান্সার- কিডনির ক্যান্সারের উপসর্গগুলো হল, পিঠের নিচের দিকে ব্যথা, সার্বক্ষণিক ক্লান্তি, অকারণে ওজন কমে যাওয়া এবং মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত। কিডনি শরীরের অনেক ভেতরে বলে এতে টিউমার হলেও সাধারণ শারীরিক পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। আর কিডনি ক্যান্সারের জন্য নিয়মিত করানো যায় তেমন কোনও পরীক্ষাও নেই।

২) ব্রেন ক্যান্সার- মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ডের টিউমার শনাক্ত করা যায় তখনই যখন এর উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই এসব উপসর্গ এতই সাধারণ যে তাকে তেমন একটা গুরুত্ব দেন না আক্রান্তরা। যেমন- হাত কাঁপা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, ব্যক্তিত্বে সূক্ষ্ম পরিবর্তন ইত্যাদি। ব্রেন ক্যান্সারের আরেকটি উপসর্গ হল মাথাব্যথা। সাধারণত এমআরআই বা মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান ছাড়া ব্রেন ক্যান্সার ধরা পড়ে না।

৩) ওভারিয়ান ক্যান্সার- নারীরা যত রকমের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ হল জরায়ু বা ওভারিয়ান ক্যান্সার। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে মাত্র ২০ শতাংশ ওভারিয়ান ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়। মূলত, পেটের ভেতরে থাকার কারণে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনও উপসর্গ না থাকায় তা শনাক্ত করা কঠিন। সাধারণত তৃতীয় বা চতুর্থ স্টেজের পর তা শনাক্ত হয়।

৪) লাং ক্যান্সার- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লাং ক্যান্সার বা ফুসফুসের ক্যান্সার ছড়িয়ে যাবার পড়েই ধরা পড়ে। কাশি, নিউমোনিয়া, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, রক্ত এবং লিম্ফ সিস্টেমে ছড়িয়ে পড়ে ততদিনে। ফুসফুসের ক্যান্সারও প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না কারণ, এর তেমন কোনও উপসর্গ থাকে না এমনকি চেস্ট এক্সরেতেও ধরা পড়ে না। পিইটি বা সিটি স্ক্যানে তা ধরা পড়তে পারে। শেষ দিকে ধরা পড়লে ফুসফুস ক্যান্সারে বাঁচার সম্ভাবনা কম।

৫) লিভার ক্যান্সার- একদম শেষের দিকে এর উপসর্গ বোঝা যায় বলে লিভার ক্যান্সার শনাক্ত করা বেশ কঠিন। টিউমারটি যদি ছোট হয় তাহলে ভালভাবে বোঝা যায় না। কারণ, লিভারের বেশিরভাগটাই পাঁজরের নিচে ঢাকা থাকে। যাদের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে বা লিভার সিরোসিস রয়েছে, তাদের লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাই সতর্ক থাকা ও নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াটা খুবই জরুরী।