আন্তর্জাতিক

গুগল, ফেসবুক, টুইটারের ওপর চড়াও ট্রাম্প; মিডিয়াকে লাল কার্ড

By daily satkhira

August 29, 2018

বিদেশের খবর: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারের বিরুদ্ধে চড়াও হয়েছেন। এসব মাধ্যম ‘ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে’ বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপারে অভিযোগ তুলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁদের খুব সাবধান হতে হবে’। এর আগে ‘ট্রাম্প নিউজ’ প্রসঙ্গে গুগলের অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর অভিযোগ, ‘এসব মাধ্যম রিপাবলিকান ও কনজারভেটিভ মতের বিরুদ্ধাচারণ করে।’ ট্রাম্প টুইটে লেখেন, গুগুলে ‘ট্রাম্প নিউজ’ লিখে সার্চ দিলে যেসব খবর আসে তার ৯৬ ভাগই ‘বামপন্থী সংবাদ মাধ্যমের’। এগুলো নেতিবাচক। ট্রাম্পের অভিযোগের প্রতিউত্তরে গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা কোনো রকম রাজনৈতিক আদর্শ দ্বারা প্রভাবিত নয়, তাদের অনুসন্ধান প্রক্রিয়াও কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় না। তবে এ ব্যাপারে ফেসবুক বা টুইটারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প আরো বলেন, ‘গুগল অনেক মানুষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে, ব্যাপারটি বেশ গভীর।’ ফেসবুক ও টুইটারের নাম উল্লেখ করে এ সময় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তাদের জন্য সাবধান হওয়া মঙ্গলজনক, মানুষের সঙ্গে আপনারা এমন করতে পারেন না, আমাদের কাছে আক্ষরিক অর্থেই হাজার হাজার অভিযোগ আসছে।’ তবে এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপারে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি ট্রাম্প। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘সিএনএন ফেক’ বিখ্যাত। তবে ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো বলেন, প্রশাসন এসব যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপারে কিছু তদন্ত ও বিশ্লেষণ করে দেখবে যে, এগুলো নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায় কি না। ট্রাম্পের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে কিংস কলেজের ডিজিটাল টেকনোলজি বিভাগের মার্সিডিজ বোনজ বলেন, গুগলের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই ধরনের অভিযোগ একেবারেই অবাস্তব। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, যে পেজটি সবচেয়ে বেশিবার পড়া হবে সেটিই অ্যালগারিদম অনুযায়ী সামনে আসবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ কিছু উপহার নিয়ে হোয়াইট হাউজে হাজির হয়েছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। উপহারের মধ্য ছিল ফুটবলের জার্সি, লাল ও হলুদ কার্ড এবং বিভিন্ন ধরনের কয়েন। সবারই জানা যে, মিডিয়ার সঙ্গে একরকম শাপে-নেউলে সম্পর্ক মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সে কথা মাথায় রেখেই কিনা ইনফান্তিনো মজা করে বলেন, তার উপহার দেয়া কার্ডগুলো ভবিষ্যতে মিডিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন ট্রাম্প। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে হোয়াইট হাউজে এক বৈঠকের পরপরই নিজ কার্যালয়ে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের লাল কার্ড দেখান ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে এখন বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে ২০১৬ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। বিশ্বকাপের ওই আসর যৌথভাবে বসবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। ট্রাম্পকে ইনফান্তিনো বলেন, একটা কথা বলি। আপনি জানেন, ফুটবলে আমাদের রেফারি থাকে, ঠিক? তাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের কার্ড থাকে। হলুদ এবং লাল কার্ড। হলুদ কার্ড সতর্কবার্তার জন্য এবং কাউকে যখন বের করে দিতে হয় তখন লাল কার্ড ব্যবহৃত হয়। আপনি কোনটা ব্যবহার করবেন সেটা অবশ্য আমি জানি না। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, সেটা খুবই ভালো ব্যাপার। আমি এটা পছন্দ করি। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের দিকে একটি লাল কার্ড তুলে ধরেন ট্রাম্প।