প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের ইউপি নির্বাচন সংক্রান্ত একটি রিট পিটিশনের আদেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা ও অসম্মান করায় কেন শাস্তি মূল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা মর্মে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ আটজনকে কারন দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন আদালত। বিচারক সালমা মাসুদ চৌধুরি এবং বিচারক কাজী মোঃ এজারুল হক আকন্দ গত ৩০ নভেম্বর এই আদেশ দিয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নোটিশ জারি রা হয়েছে তাঁরা হলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোঃ রকিব উদ্দিন আহমেদ, স্থাণীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ আব্দুল মালেক, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারি সচিব মাহফুজা আক্তার, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন, সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসার এ,এইচ,এম কামরুল হাসান, সাতক্ষীরা সদরের সাবেক উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শাহ আব্দুল হাদী এবং আলিপুর ও ভোমরা জোনের রির্টানিং অফিসার মোঃ নকীবুল হাসান। হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়েরকারী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৭ নং ভোমরা ইউনিয়নের তিনজন ইউপি সদস্য প্রার্থী গতকাল বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা হলেন, সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী সুবিকাশ রায়, মোঃ আব্দুল হামিদ এবং মোঃ আফতাবুজ্জামান। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, গত ২২ মার্চ প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৭ নং আলিপুর ইউনিয়নের সব কয়টি ভোট কেন্দ্রে তাদের প্রতিপক্ষরা পোষ্টার লাগানো, লিফলেট বিতরণ, মাইকিং করা, পথসভাসহ নির্বাচনি কোন কর্মকান্ডে তাদের অংশগ্রহণ করতে দেয়নি। এছাড়া, প্রতিপক্ষরা ভোট কেন্দ্র থেকে তাদের নিয়োগকৃত এজেন্টদের জোর করে বের করে দেওয়া, লাঞ্চিত করা, ভয় দেখিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে সিল মারাসহ বিভিন্ন ধরণের আইন বিরোধী কর্মকান্ড চালায়। এসব বিষয়ে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। এরপর তারা ৩০ মে আইনজীবির মাধ্যমে জাস্টিস ডিমান্ড নোটিশ প্রেরণ করেন। অতঃপর নিরুপায় হয়ে হাইকোর্টে ৭৭৮৫/২০১৬ নম্বর এটি রীট পিটিশন করলে আদালত ১৬ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ডাইরেকশন এর আদেশ দেন। আদালতের আদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় প্রাপ্তির পর ১৮ জুলাই আমাদের (পিটিশন দায়েরকারীদের) পত্রাদেশে টাইব্যুনালে প্রতিকার প্রার্থনার নির্দেশ দেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো জানান, উচ্চ আদালতে রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় নির্বাচন কমিশন গত ২১ জুলাই গেজেট প্রকাশ করেন। রীট মোকদ্দমার রুল পেন্ডিং থাকা অবস্থায় গেজেট প্রকাশ করায় তারা উচ্চ আদালতে কনটেম্ট পিটিশন নং-৪১৭/২০১৬ দায়ের করেন। এরপর আদালত গত ৩০ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উল্লিখিত আটজনের বিরুদ্ধে কেন শাস্তি মূল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা মর্মে কারন দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন সংবাদ সম্মেলনে তিনজন সাধারণ সদস্য প্রার্থী সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে জোর করে ছেড়া কাটা ব্যালট কর্তৃক ভোট বাতিল করে আলিপুর ইউনিয়নে সকল কেন্দ্রে পুনরায় অবাধ সুষ্টু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিসার এ,এইচ,এম কামরুল হাসান কারন দর্শানোর নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনার অবগত। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ের নির্দেশ মতো আমরা কাজ করছি।