দেশের খবর: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩২ বছর করার বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।বয়স বাড়ানো সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার মতে চাকরি হওয়া উচিত কনটাক্ট বেসিসে।’
বুধবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী একথা জানান। মুহিতের ভাষায়, ‘এভরি মানুষ শু্যড বি গিভ ইন উইথ জব টেন ইয়ারস, ফিফটিন ইয়ারস, অ্যান্ড সামথিং, অ্যানি বয়সে।’ ‘বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা আমার ছিলো। আমি প্রস্তাবও দিয়েছিলাম, এটা হয়নি। আমার মনে হয়, নির্বাচনের আগে কোনো পরিবর্তন হবে না।’ আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর। আর অবসরের বয়স ৫৯ বছর নির্ধারিত আছে। আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২৭ বছর থাকলেও ১৯৯১ সালে তা বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়। তবে ওই সময় অবসরের কোনো বয়স বাড়েনি। পরে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার সুপারিশ করে। চাকরিতে ঢোকার সময়সীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে গত মার্চে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করে। এরপর চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়াতে আলোচনা শুরু করে সরকার। এদিকে বৈঠকে শেষে এএমএ মুহিতকে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ সময় ওই সরকারে নিজের থাকার সম্ভাবনার কথা রয়েছে বলেও মনে করেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে তিনি বলেন, নিউইয়র্কে মামলা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে।