সাতক্ষীরা

নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত

By daily satkhira

December 07, 2016

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি ও আলোচনাসভার মধ্য দিয়ে   বুধবার পালিত হয়েছে ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে  গতকাল বুধবার সকালে সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলনের পর সেখান থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু’র সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারন করে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল, ডেপুটি কমান্ডার আবুবকর সিদ্দিকী, মুহিত খান দুলু, নাজমুস শাহাদাৎ, আবুল খায়ের সরদার, হাসান-উজ-জামান, প্রচার কমান্ডার ড.এম এ বারী, মফিজুল ইসলাম, তবিবর রহমান, লায়লী পাভিন সেজুতি, আজিজুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২ মার্চ সাতক্ষীরা শহরে পাকিস্থান বিরোধী মিছিলে সর্বপ্রথম রাজাকাররা গুলি করে হত্যা করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাককে। আর এখান থেকে শুরু হয় সাতক্ষীরার দামাল ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া। ৮ম ও ৯ম সেক্টরের অধীনে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ট্রেনিং শেষে ২৭ মে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয়। এর পর একে এক ভোমরায়, টাউন শ্রীপুর , বৈকারী, খানজিয়া এলাকায় যুদ্ধ হয়। এ সব যুদ্ধে শহীদ হন কমপক্ষে ৩৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আহত হন আরো বেশ কয়েকজন। এ সময় পাক সেনাদের ২ শতাধিক সৈন্য নিহত হন। এরপর থেমে থেমে চলতে থাকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গুপ্ত হামলা। এরপর ৩০ নভেম্বর টাইম বোমা দিয়ে শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত পাওয়ার হাউস উড়িয়ে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভীত সন্ত্রন্ত করে ফেলে পাকসেনাদের। রাতের আঁধারে বেড়ে যায় গুপ্ত হামলা। পিছু হটতে শুরু করে পাক সেনারা। ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় টিকতে না পেরে বাঁকাল, কদমতলা ও বেনেরপোতা ব্রীজ উড়িয়ে দিয়ে পাক বাহিনী সাতক্ষীরা থেকে পালিয়ে যায়। ৭ ডিসেম্বর জয়ের উন্মাদনায় জ্বলে ওঠে সাতক্ষীরার দামাল ছেলেরা। বক্তারা এ সময়, সাতক্ষীরায়  মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ স্মৃতি চিহ্ন গণকবর গুলো সংরক্ষনের জোর দাবি জানান।