খেলার খবর: পরিসংখ্যান এবং খোলা চোখে, বাংলাদেশের বিজয়ে মূল ভূমিকা ছিল বরাবরই পেস বোলারদের। উইকেটের সংখ্যার ক্ষেত্রেও স্পিনাররা পিছিয়ে। বর্তমান পেস বোলিংয়ের অন্যতম মূল অস্ত্র মুস্তাফিজুর রহমান চাইবেন দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আগের সেই কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ইনজুরিতেও ভুগতে হয়েছে তাঁকে। তবে সব মিলিয়ে, আসন্ন এশিয়া কাপে নিজেকে তুলে ধরার ব্যাপারে আশাবাদী এই বাঁহাতি বোলার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজে বাজেভাবে হারের পর বাংলাদেশ জিতেছে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মুস্তাফিজুর রহমান একবাক্যেই স্বীকার করলেন, নিজেকে পুরোনো ছন্দে মেলে ধরতে পারেননি। মুস্তাফিজ বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে নিজের শতভাগ বোলিং করতে পারিনি। আমি বলব, আমি নিজের সামর্থ্যের ৬০ ভাগ দিতে পেরেছি। পেস বোলারদের ছন্দে থাকার বিষয় আছে। রিদম ভালো থাকলে মারও খেতে পারি, আবার ভালোও করতে পারি। আমি এখন সুস্থ আছি, তবে আমার ছন্দটা ওই ভাবে আসছে না। ছন্দ আসলে ভালো হবে। ’ মুস্তাফিজ আপাতত তাই তাকিয়ে আছেন নিজের পারফরমেন্সের দিকে। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘তেমন কোনো লক্ষ্য নেই। তবে চেষ্টা করব ভালো করার। আমার কাছে অনেকের প্রত্যাশা থাকে। চেষ্টা থাকবে আমি যেন সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি। ’ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। ভেন্যু আরব আমিরাত। পাকিস্তান সেখানে তাঁদের ঘরের ম্যাচগুলো খেলে অভ্যস্ত থাকলেও সেই কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে সময় লাগতে পারে টাইগারদের। তবে, এই পরিবেশে আগেও খেলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন মুস্তাফিজ। সেখানকার আবহাওয়া সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেন, ‘সেখানকার গরম প্রায় আমাদের দেশেরই মতো। অত আহামরি পরিবর্তন নেই। আমি ২০১৪ সালে খেলেছিলাম, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। তখন যেই মাঠে খেলেছি সেই মাঠেই এবার খেলা হবে। সবকিছু প্রায় আমাদের মতোই হবে। এখন এসিসি কি উইকেট দেয় সেটা দেখার বিষয়। ’ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের রেকর্ড হিসাবে রয়েছে দুইবারের রানার্স-আপ ট্রফির স্বাদ আর ভক্তদের চাপা কষ্ট। এবার ইতিহাস গড়ে মুকুট পরতে চাইলে বাংলাদেশ দলকে জ্বলে উঠতে হবে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই। তুরুপের তাস মুস্তাফিজ জ্বলে উঠতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে।