খেলার খবর: আম্পায়ার কর্তৃক তিরস্কৃত হলেন অ্যালিজ করনেট। টেনিস কোর্টে নিজের পোশাক খুলে নিয়ে বিধি ভঙ্গের দায়ে। আর এ ঘটনায় তোলপাড় টেনিস বিশ্ব। এতে লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। মহিলা টেনিস সংস্থা ডাব্লিউটিএ-এর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সে (করনেট) কোনো ভুল করেনি। টেনিস কোর্টে পোশাক পরিবর্তন নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই।’ ইউএস ওপেনে মহিলা এককের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচের ঘটনা এটি। ম্যাচের দ্বিতীয় সেটে গরমের কারণে ১০ মিনিটের ‘হিট ব্রেক’-এ যান দুই খেলোয়াড় অ্যালিজ করনেট ও জোহানা লারসন। আর বিরতি থেকে ফিরে কোর্টে ঢুকে নিজের গায়ের পোশাক খুলে ফের পরিধান করেন করনেট। আর ঘটনার পরপরই ম্যাচের আম্পায়ার ক্রিস্টিয়ান র্যাস্ক বলে ওঠেন, করনেট বিধি ভঙ্গ করেছেন। তবে এ সময় করনেট আত্মপক্ষ নিয়ে বলেন, ড্রেসিং রুম থেকে আদতে পোশাক উল্টো পরে কোর্টে ঢুকেছিলেন তিনি। আর কোর্টে ঢুকে তা বুঝতে পেরে দ্রুত পোশাক সোজা করে পরেন তিনি। এ সময় ম্যাচের আম্পায়ার র্যাস্ক বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন করনেটের বিরুদ্ধে। ম্যাচ শেষে ইউএস টেনিস ফেডারেশনের বিবৃতিতে বলা হয়, কোর্টের পাশে চেয়ারে বসে খেলোয়াড়রা পোশাক পাল্টাতে পারবে। আর কোর্টের পাশে নিভৃত স্থানে পোশাক পাল্টাতে পারবে নারী খেলোয়াড়রা। কোর্টে যখন তখন পোশাক পরিবর্তন করতে পারে পুরুষ খেলোয়াড়রা। ফরাসি ওপেনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেরেনা উইলিয়ামসের বিশেষ ধরনের ‘ক্যাট স্যুট’। আর এটাকে তার চেয়েও বাজে ঘটনা বলে অভিযোগ করনেটের। দু’দিন আগে ফ্রান্স টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি জিউডেসেল্লি বলেন, ফরাসি ওপেনে এমন পোশাক (সেরেনার ক্যাট স্যুট) গায়ে খেলতে দেয়া হবে না। খেলাটির জন্য সবার সম্মান থাকা উচিত। অ্যালিজ করনেট বলেন, এমন মন্তব্য শুনে অবাক হয়েছি আমি। তিনি সেরেনার ক্যাটস্যুট সম্পর্কে যা বলেছেন তা আমার ঘটনার চেয়ে ১০০০০ গুণ বাজে। করনেট বলেন, সবাই ভয়ে ছিল আমি জরিমানা পেতে পারি। আমিও ভয়ে ছিলাম। তারা আমাকে বলেছিল, আমার জরিমানা হলে সবাই একাট্টা হয়ে বিক্ষোভ করবো। এর আগে মাতৃত্বকালীন বিরতি থেকে ফিরে সর্বশেষ ফরাসি ওপেনে বিশেষ ধরনের আঁটসাঁট পোশাক গায়ে (ক্যাটস্যুট) পরে খেলতে নামেন ২৩ বারের গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপাজয়ী সেরেনা উইলিয়ামস। তখন সেরেনা বলেন, এমন পোশাক শরীরের রক্ত চলাচলে সুবিধা দেয়।