অনলাইন ডেস্ক: সাপের নাম শুনলেই যেখানে মানুষের পিলে চমকে যায়, সেখানে ভয়ংকর এক সাপকেই নিজের খেলার সাথী বানিয়েছে এক শিশু! অবাক হওয়ারই কথা। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরের ঘটনা এটি। শিশু অ্যালিসার বয়স তখন মাত্র ১৪ মাস। এই বয়সের একটি শিশুর সারাদিন কাটে নানা রকম খেলনা সামগ্রী নিয়ে। অ্যালিসাও তার বয়সী শিশুদের থেকে ব্যতিক্রম ছিল না। তারও দিন কেটেছে খেলে। তবে আর দশটা শিশুর চেয়ে তার খেলার সঙ্গী ছিল ভিন্ন। তের ফুট লম্বা অজগর সাপের সঙ্গে খেলে বড় হয়েছে সে। অ্যালিসার বাবা জেমি গাউরিনো সাপুড়ে। বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে। সাপ পোষা তার শখ। সাপ যে মানুষের পোষা প্রাণী হতে পারে এটা বোঝানোর জন্য তিনি তার মেয়ের সাথে সাপের খেলা করার দৃশ্যটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আর তাতেই চমকে উঠেছেন অনেকে। ছয় বছর আগের ঘটনাকে জানান দিতে, কিছুদিন আগে জেমি তার ফেসবুক পাতায় ছবি ও ভিডিও দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ মানুষ সেসব দেখে ভয়ে শিউরে উঠেছেন। অনেকেই পোষা অজগর সাপ নিয়ে তাদের বাজে অভিজ্ঞতার কথাও কমেন্ট বক্সে লিখেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জেমি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘সাপকে মানুষ যতটা ক্ষতিকর ভাবে আসলে সাপ ততটা ক্ষতিকর নয়। একটি কুকুরের চেয়েও সাপ মানুষের জন্য কম ক্ষতিকর। এটিও একটি চমৎকার পোষা প্রাণী হয়ে মানুষের ঘরে থাকতে পারে।’ সূত্র: দা টেলিগ্রাফ