দেশের খবর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু পাওয়ার মধ্যে তৃপ্তি আসে না। মানুষকে দেয়ার মধ্যেই তৃপ্তি। নিজে কতটুকু সুবিধা পেলাম এটা বড় কথা নয়। মানুষকে কি দিতে পারলাম সেটাই বড় কথা। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন। ছাত্রলীগকে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটি আদর্শিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে ছাত্রলীগকে। আদর্শের পতাকা ধারণের মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া করতে হবে, ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। সম্পদের লোভ থাকলে দেশের সেবা করতে পারবে না। অনেক ছাত্রনেতা সম্পদের লোভ করতে গিয়ে হারিয়ে গেছে। তারা দেশ ও জনগণকে কিছু দিতে পারেনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করলে দেশকে অনেক কিছু দেতে পারবে। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করলে জাতির সেবা করতে পারবে। মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া শিখতে হবে। ধন সম্পদ অনেক সময় থাকে না। কিন্তু শিক্ষা কেউ নিতে পারে না। এই সম্পদ কেউ চুরি এবং হাইজ্যাক করে নিতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো একদিন চলে যাব। তোমাদেরই এই দেশ পরিচালনা করতে হবে। তোমরাই হবে এ দেশের ভবিষ্যৎ। আদর্শের পতাকা সমুন্নত রেখে সামনের দিকে সেবার মন মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সন্তান হিসেবে বাবার ভালোবাসা যতটুকু না পেয়েছি তার চেয়ে বেশি ভালোবাসা পেয়েছে এ দেশের মানুষ। তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় কেটেছে কারাগারে। কিন্তু তিনি (বঙ্গবন্ধু) বাংলার মানুষের ভাগ্যের সঙ্গে আপোষ করেননি। পাকিস্তানিরা প্রতিশোধ নিতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। আমাদের দেশের কুলাঙ্গার রাজাকাররা তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে গেছে। যারা স্বাধীনতা বিশ্বাস করতো না তারাই ১৫ আগস্টের জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক সড়ক আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট্ট ছোট্ট ছাত্রদের ঘাড়ে পা রেখে অনেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিল, এদের অনেকে নাকি আবার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। কিন্তু দেশের স্বার্থে কোনো ছাড় নেই। আমার বাবা, আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি, নীতির প্রশ্নে আপোস নেই।