দেবহাটা

জগন্নাথপুর রাস্তার দুপাশের মরা গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ায় আতঙ্ক!

By daily satkhira

August 31, 2018

 

দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পানির কল হতে নাংলা অভিমুখে সড়কের মেটোখালি ব্রীজ পর্যন্ত দুপাশের মরা গাছের ডাল প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে পড়ছে। আর এতে স্থানীয় বসবাসকারী ও পথচারিরা আতঙ্কে সময় পার করছে। জানাগেছে, জগন্নাথপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান জানান, কয়েকদিন আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ মস্তবড় একটি মরা গাছের ডাল আমাদের টিনের চালের উপর ভেঙ্গে পড়ে। তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার স্ত্রী ও ২ সন্তান সে সময়ে ঘরের ভিতর অবস্থান করছিল। বিকট শদ্বে তারা আতঙ্কিত হয়ে যায়। পাশবর্তী মসজিদের মুসল্লিরা তাদের কে উদ্বার করে আমার খবর দেয়। আমি দ্রুত বাসায় এসে দেখি আমার ঘরের চাল দুমড়ে মুচড়ে গেছে। বিদ্যুতের মিটার দেয়াল থেকে উঠে মাটিতে পড়ে আছে। সার্ভিস লাইনের তার ছেড়ে ঝুলছে। এতে আমি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হই। বর্তমানে আমার ঘরের উপড়ে বৃহৎ গাছের সিংহাভাগ রয়েছে যা থেকে ছোট ছোট অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। এনিয়ে বহুবার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগযোগ করেছি কোন ফল পায়নি। আমরা প্রতিটা সময় ভয় আর আতঙ্কে পার করছি। একই গ্রামের লিয়াকাত আলী জানান, সামাপ্রতিক ডাছের ডাল পড়ে আমার বসতবাড়ির এ্যালবেস্টর ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলে অনেক ক্ষতির সম্মূখিন হই। ইদ্রিস আলী, খোকন, মজি শেখসহ কয়েকজন জানান, আমরা খুব ভয়ে দিন পার করছি। সামান্য বাতাস হলে ডাল ভেঙ্গে পড়ছে। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে খুব বিপদে আছি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মরা গাছ কেটে অপসারনের জন্য প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন সমাধান পাচ্ছি না। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদে বাস করতে চাই। এদিকে, পানির কল হতে নাংলা অভিমুখে সড়কের বনায়ন কর্মসূচি কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জানান, প্রায় ২০ বছর আগে বনবিভাগ কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করে। এটি আমরা স্থানীয় ভাবে রক্ষানাবেক্ষন করি। কিন্তু সাম্প্রতিক পোকার আক্রমনে প্রায় অর্ধশতাধীক গাছ মারাগেছে। আমরা বনবিভাগের সাথে যোগাযোগ করেছি। লিখিত ভাবে আবেদন করেও ফল পাচ্ছি না। এতে সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে সাথে সাথে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলা সামাজিক বনায়ন অফিসার আবুল হাসেম জানান, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। আমি বিষয়টি যশোর বন বিভাগ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করবে। তাছাড়া যে সব গাছগুলোর ডাল ঝুঁকিপূর্ন সেখান থেকে চিকন ডালগুলো কমিটির মাধ্যমে কেটে ফেলার জন্য বলা হয়েছে। তবে অতি দ্রুত বিষয়টি সমাধান হবে।