জাতীয়

বুলেটপ্রুফ রেল ব্যবহার করবেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি

By daily satkhira

September 01, 2018

দেশের খবর: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যবহারের জন্য বিশেষ ধরনের বিলাসবহুল রেল কোচ (সেলুন) আমদানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত এসব কোচ হবে বুলেটপ্রুফ। একাধিক কোচের সমন্বয়ে তৈরি একটি ইউনিট ‘স্টেট সেলুন’ নামে পরিচিত হবে। ভ্রমণকালীনও যাতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তাদের যাবতীয় দাফতরিক কাজ ও যোগাযোগ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারেন, তার সব ব্যবস্থাই এতে থাকবে। সূত্র জানায়, কোরিয়ান অর্থায়নে ‘২০ লোকোমোটিভ ও ১৫০ ক্যারেজ সংগ্রহ’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় এই ‘স্টেট সেলুন’ কেনা হচ্ছে। ৩টি কোচের সমন্বয়ে তৈরি একটি সেলুন ইউনিট আমদানির প্রাথমিক দর ধরা হয়েছে ২২ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চূড়ান্তভাবে সেলুন সরবরাহের সময় এর দাম আরও কিছুটা বাড়তে পারে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালের শেষদিকে এটি যুক্ত হবে রেলবহরে। তখন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান রেলযোগে দেশের যে কোনো জায়গায় নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেলভ্রমণের সময় এ ধরনের স্টেট সেলুন কোচ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তিরা ব্যবহার করে থাকেন। এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বুধবার বলেন, ‘যদি কখনও প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি রেলযোগে কোথাও যেতে চান বা কোনো প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য তাদের যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে রেলের সেই সক্ষমতা থাকতে হবে। সেই তাগিদ থেকেই আমরা ‘স্টেট সেলুন’ সংগ্রহ করছি।’ এ সংক্রান্ত প্রকল্প থেকে জানা যায়, ৩টি কোচের সমন্বয়ে তৈরি হওয়ায় স্টেট সেলুন নামের বিশেষ এ ইউনিট হবে সুপরিসর। এর একদিকে থাকবে অফিস কাম ডাইনিং হল, মিনি কনফারেন্স লাউঞ্জ, প্রমাণ সাইজের এলইডি পর্দা, তারবিহীন উচ্চগতির ইন্টারনেট, স্বয়ংক্রিয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ও নিজস্ব বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা। এছাড়াও আবহওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থান জানা এবং বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে দ্রুত যোগাযোগের সর্বাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। দূরভ্রমণের সময় প্রয়োজনে বিশ্রাম নেয়াও যাবে। এজন্য বেডরুমের আদলে একটি কাঠামো থাকবে। ভ্রমণের সময় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যদের জন্যও পৃথক কক্ষ ও কৌশলগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও পর্যবেক্ষণের জায়গাও রাখা হবে। এ সংক্রান্ত প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী আবদুল মতিন চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় স্টেট সেলুন ছাড়াও ২০টি লোকোমোটিভ (রেল ইঞ্জিন) ও ১৫০টি কোচ (ক্যারেজ) আমদানি করা হবে। এজন্য কোরিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে সহজ শর্তে ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৮১ কোটি ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ৪০০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। বাকি টাকা মাত্র দশমিক শূন্য এক পার্সেন্ট সুদে ঋণ দেবে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক। সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যেই এ সংক্রান্ত দরপত্র আহ্বান করবে রেল।