আন্তর্জাতিক

জঙ্গি দমনে ‘ব্যর্থতা’, পাকিস্তানে অর্থ সহায়তা বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র

By daily satkhira

September 02, 2018

বিদেশের খবর: জঙ্গিদের দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসলামাবাদের ব্যর্থতার জেরে পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত ৩০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা বাতিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। শনিবার পেন্টাগনের মুখপাত্র লেফটেনেন্ট কর্নেল কোনে ফকনার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান বলে খবর বিবিসির। বাতিল হওয়া এ অর্থের ছাড় আগে স্থগিত রাখা হয়েছিল। এখন পাকিস্তানকে দেওয়ার বদলে ওই অর্থ সামরিক বাহিনী তাদের ‘জরুরি অগ্রাধিকার’ বিভিন্ন প্রকল্পে খরচের পরিকল্পনা নিয়েছে বলেও মার্কিন এ সামরিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। “সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবো আমরা,” বলেছেন তিনি। পেন্টাগন ঘোষণা দিলেও অর্থ সহায়তা বাতিলের এ সিদ্ধান্তটি মার্কিন কংগ্রেসে অনুমোদিত হতে হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেওর পাকিস্তান সফরের দিনকয়েক আগে পেন্টাগন ইসলামাবাদকে দেওয়া অর্থ সহায়তা বাতিলের এ ঘোষণা দিল। পাকিস্তান সফরে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে পম্পেওর দেখা হওয়ার কথা রয়েছে। জঙ্গি দমনে পাকিস্তানের ব্যর্থতা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন আগে থেকেই বেশ কট্টর অবস্থানে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ধোঁকা দেওয়ার’ অভিযোগ এনেছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন সরকার পাকিস্তানে সব ধরনের নিরাপত্তা সহায়তা তহবিল কাঁটছাঁট করা হবে বলেও জানিয়েছিল। ওয়াশিংটন ও তাদের দক্ষিণ এশীয় মিত্রদের অভিযোগ, ইসলামাবাদ জঙ্গিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল বানিয়ে দিয়ে আফগানিস্তানের ভেতর হামলা চালানোর অবাধ সুযোগ করে দিচ্ছে। পাকিস্তান অবশ্য শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে জঙ্গি মদদের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর অর্থ সহায়তা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার আগের দিনই জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার তহবিলেও আর টাকা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। জাতিসংঘের ত্রাণ ও কাজ বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-কে ‘অবিশ্বাস্যরকমের ত্রুটিপূর্ণ’ প্রতিষ্ঠান হিসেবেও অ্যাখ্যা দিয়েছে তারা। ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে তাদের ওপর ‘হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। ইউএনআরডব্লিউর তহবিল বন্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের এ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে বলে সতর্ক করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেইকো মাসও। “প্রতিষ্ঠানটির এ ক্ষতি, নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না এমন চেইন রিঅ্যাকশনের সূচনা করতে পারে,” আশঙ্কা তার।