দেশের খবর: সাবেক রাষ্ট্রপতি, যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী তুরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তোমরা বলেছো উই ওয়ান্ট জান্টিস, সারা বাংলাদেশ বলেছে ‘উই ওয়ান্ট জান্টিস’। আমরা বলেছি ‘উই ওয়ান্ট জান্টিস’। তোমাদের মতো করে দেশকে ভালোবাসার বোঝার হয়তো আমাদের ঘাটতি ছিল, সে ঘাটতি তোমারা পুষিয়ে দিয়েছো। আমারা তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ। যে ভাষায় দেশকে ভালোবাসতে হবে, আম জনতার সাথে থাকতে হবে- সেটা তোমরা ভবিষ্যতেও থেকো। দেশ তোমাদের হাতে তুলে দিয়ে আজকে নিজেকে কৃতজ্ঞ মনে করছি। দেশের ভবিষ্য তোমাদের হাতে। ফিউচার লাইজ ইউরস। প্রজন্ম বাংলাদেশ-এর ‘যুব প্রচার অভিযান’ প্ন্যান-বি কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তুরুণ প্রজন্মের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার এ অঙ্গীকার করেন তিনি। রবিবার বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ কনভেনশন হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। প্ন্যান-বি কর্মসূচি তুলে ধরেন প্রজন্ম বাংলাদেশ-এর প্রধান মাহী. বি. চৌধুরী। অনুষ্ঠান শুরু হয় একটি প্রতিবাদী ব্যান্ড সঙ্গীত দিয়ে, যেখানে স্যালুলয়েডের পর্দায় দেশের নানা অসঙ্গতি ও সাম্প্রতিক নিরাপদ সড়ক ও কোটা শিক্ষার্থী আন্দোলন এবং নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ডা. এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আরও বলেন, বয়স এখানে কোনো বিষয় নয়। কোন বয়সে আমরা মা’কে মা বলবো, বাবাকে বাবাকে বাবা বলবো, দেশকে দেশ বলবো, অধিকারকে অধিকার বলবো? আর সেই অধিকারে দেশ চালাতে পারবো কোন বয়সে? এসময় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রবকে দেখিয়ে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মান সম্মান যারা এনেছে তাদের অন্যতম ওনার তখন মাত্র ২৩ বছর বয়স ছিল। তার যৌবন এখন নেই। ইতিহাস তার সাক্ষী আছে।