অনলাইন ডেস্ক: টানা ছয় মাস চেষ্টার পর অবশেষে ধরা পড়ল মুন্সীগঞ্জে দুই শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মহসিন আলী শেখ (৩৫)। আজ বুধবার ভোর রাত ৪টার দিকে সদর উপজেলার বিনোদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।
মহসিন আলী শেখের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় শিশু ধর্ষণের দুটি মামলা রয়েছে। মামলা নম্বর ৪৩ (২) ১৮ ও ৫২ (১১) ১৭। ধর্ষণের শিকার শিশু দুটির বয়স নয় ও সাত বছর। একজন গত বছরের নভেম্বর মাসে ও আরেকজন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ধর্ষণের শিকার হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী মো. সালাউদ্দিন জানান, মহসিন ২০০১ সালে শিশু ধর্ষণ মামলায় পাঁচ বছর জেল খেটে মুক্তি পান বলে মৌখিকভাবে স্বীকার করেছেন। তিনি সপ্তাহে এক-দুই দিন রাত ১২টার পর মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও শিশু ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়াতেন। কাজ শেষে সূর্যোদয়ের আগেই বিনোদপুর এলাকা ত্যাগ করতেন। এমনি করে তিনি দরিদ্র পরিবারের দুই শিশুকে ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনায় তাঁর নামে থানায় দুটি মামলাও হয়। কিন্তু বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় ছয় মাস আগে পুলিশ সুপার তাঁকে বিশেষভাবে মামলার তদন্তভার দেন।
গাজী মো. সালাউদ্দিন জানান, ধর্ষককে গ্রেপ্তারের জন্য তিনি একাধিকবার গভীর রাত পর্যন্ত বিনোদপুর ও মুক্তারপুর সেতু এলাকায় ছদ্মবেশ নিয়ে ওত পেতে থাকেন। কিন্তু তিনি মহসিন পুলিশী ফাঁদ বুঝতে পেরে পালিয়ে যান। ছয় মাস চেষ্টার পর অবশেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করা গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন জানান, মহসিনের বাড়ি টঙ্গিবাড়ী উপজেলার রঘুরামপুর এলাকায়। দীর্ঘদিন আগে বাড়িঘর বিক্রি করে চলে যান তিনি। পাঁচ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ধর্ষণ করতে তিনি সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়ন ও মীরকাদিম পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে আসছিলেন। তাঁর পরিচয় কেউ যাতে চিহ্নিত না করতে পারে তার জন্য বিশেষ পন্থা অবলম্বন করতেন। চুরি-ছিনতাই ও ধর্ষণের পর মহসিন আত্মগোপনে চলে যেতেন। আত্মগোপনে থাকার জন্য তিনি নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার ডেমরা এলাকায় ভাসমানভাবে অবস্থান করে আসছিলেন। নির্দিষ্ট করে তাঁর কোনো ঠিকানা নেই।