সাতক্ষীরা

ফলোআপ : আশাশুনির বড়দলের কলেজ ছাত্র কমোলেশের মৃত্যু নিয়ে ধ্রুবজাল

By daily satkhira

September 06, 2018

নিজেস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের কলেজ ছাত্র কমোলেশের মৃত্যু নিয়ে ধ্রুবজাল সৃষ্টি হয়েছে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা এ নিয়ে এলাকার ব্যাপক আলোচনা-সমলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টিকে বিভিন্ন গন মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কোন কোন পত্রিকা বলছে গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কমোলেশের গলায় অনেক লম্বা রশ্মি অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে (ছবি )। কমোলেশের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, নিহত কলোলেশ সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কমোলেশ কিছুক্ষন পরপর বাড়িতে আসা যাওয়া করছিলো। ঐ দিন  সে রাতের খাবার না খেয়ে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যায় । পরে তার কোন খোঁজ না পেয়ে পরের দিন বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে তার দিদিমা ও মা ইন্তামনি মন্ডল ঘেরের বাসায় গিয়ে দেখে বাসার আড়ার সাথে গলায় দড়ি দিয়ে তার পা বাসার পাটাতনের উপর ভাজ করা অবস্থায় ঝুলে আছে। তারা ঘটনা দেখে দ্রুত স্থানীয় ও তাদের পরিবারকে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে আশাশুনি থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান ও পিএসআই আঃ রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরোত হাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। তবে নিহত কমোলেশের দাদা পরীক্ষিত মন্ডলের দাবী তার ভাই কমোলেশকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি অশ্রু ভেড়া কন্ঠে বলেন আমার ভাইকে হত্যার আগে পেটানো হয়েছিলো। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষত চিহ্ন ছিলো। তার অন্ডকোষ টিপে গলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। তিনি আরও বলেন স্থানীয় কোন এক পক্ষ আমাদের মামলা করতে বাঁঁধা প্রদান করছে।নএমনকি মামলা করলে আমাকেও (দাদা পরীক্ষিত) হত্যা করা হবে। এব্যাপারে জানতে চাইলে নিহতের মা ইন্তামনি মন্ডল এ প্রতিবেদককে বলেন আমার ছেলে আত্মহত্যার করার ছেলে নয়। তাকে হত্যা করে ঘেরের বাসায় পা ভাজ করে ঝুলিয়ে রেখেছে হত্যাকারীরা। কমোলেশের মৃত্যুর বিষয় নিয়ে বর্তমানে তারা আতংকের মধ্যে আছে বলে জানান। এব্যাপারে নিহতের খালাত ভাই পলাশ মৌখিক অভিযোগ করে বলেন কমোলেশকে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদেরকে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেও আমরা নির্যাতিত। তারই বাস্তব প্রমান কমোলেশ হত্যাকান্ড। নিহত কমোলেশের পরিবারের একাধিক ব্যক্তির কাছে থানায় মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, কি মামলা হয়েছে তা আমরা জানিনা। তবে আমাদেরকে মামলা দায়ের না করতে বিভিন্ন পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিল্পব কুমার নাথ জানান আত্মহত্যার ব্যাপার জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এব্যাপারে আশাশুনি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলেই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে বৃহস্পতিবার কমোলেশের ময়না তদন্ত শেষে লাশ তার গ্রামের বাড়ীতে পাঠানো হয়েছে এবং সন্ধ্যায় তার সৎকার সম্পন্ন হয়েছে বলে নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে।