খুলনা

৪ লাখ জনগোষ্ঠির জন্য ডাক্তার মাত্র ২ জন: পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের বেহাল অবস্থা

By daily satkhira

December 11, 2016

বাবুল আক্তার, পাইকগাছা : পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ডাক্তার ও জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলার প্রায় ৪ লাখ জনগোষ্ঠির সেবায় কর্মকর্তাসহ মাত্র ২ জন ডাক্তার সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া জনবলের অভাবে যন্ত্রপাতিসহ আসবাবপত্র বিনষ্ট হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সকে ২ ডিসেম্বর’২০০৯ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ৩৩জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২ জন। এদিকে পাইকগাছা ছাড়া পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকেও অনেকেই এখানে সেবা নিতে আসে।  যা শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ও ১জন আবাসিক মেডিকেল অফিসার দ্বারা সেবা কার্যক্রম চালানো কোনভাবেই সম্ভব নয় বলে কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানান। ফলে উপজেলার ৪টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ৪ জন ডাক্তার নিয়ে চিকিৎসা সেবার কাজ চলছে। ফলে, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো তালাবদ্ধ থাকায় সংশ্লি¬ষ্ট এলাকার জনগণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত নভেম্বর মাসে স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের দেয়া অগ্রগতির প্রতিবেদনে ৫৬০ জন রোগী ভর্তি, বর্হিবিভাগে চিকিৎসা ২ হাজার ৯১৩জন, মেজর অপারেশন ৩৬জন, মাইনর অপারেশন ৫২জন, ডায়ারিয়া রোগীর চিকিৎসা ৮৩৬জন, যক্ষ্মা ৩১জন, আর্সেনিক ৮১জন, নিউমোনিয়া ২৫জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে দেখা যায়। কোনো কোনো মাসে এর অধিকও রোগীর চাপ পড়ে বলে সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা যায়। নার্সের কোটা পূরণ হলেও তৃতীয় শ্রেণির ৪১টি ও চতুর্থ শ্রেণির ১৯টি পদ শূন্য রয়েছে। ২০০৯ সালের ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার পর ভবন সংস্কার, সম্প্রসারণ, বেশ কিছু উপকরণ বৃদ্ধি করা হলেও সেগুলো ব্যবহার না হওয়ায় বিনষ্ট হচ্ছে। ৩১ শয্যার জনবল ও আসবাবপত্র দিয়ে স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের কার্যক্রম চলায় সর্বক্ষেত্রে বিহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। বিপুল অর্থে নির্মিত ভবনগুলো অকেজো পড়ে আছে। নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দেয়া এক্স-রে ও আল্ট্রাসনো মেশিন। গত ৫ ডিসেম্বর হাসপাতাল কর্তৃক থানায় করা এক জিডিতে দেখা যায়, ডাক্তার ও নার্সদের জন্য নির্মিত ডরমিটারগুলো ব্যবহার না হওয়ায় তার ভিতরে থাকা ৩৬টি সিলিং ফ্যান চুরি হয়ে গেছে। সর্ব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানালেন, ৫০ শয্যার হাসপাতালকে ৩০ শয্যার জনবল দিয়ে চালালেও জনবল সংকট থেকে গেছে অনেক। আমিসহ দু’জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে এতো বড় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা দেয়া অসম্ভব।