দেশের খবর: বহুল আলোচিত দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন বসছে রোববার (৯ সেপ্টেম্বর)। বর্তমান সরকারের মেয়াদে এটিই শেষ অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেন। জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে এদিন বিকাল ৫টা অধিবেশন শুরু হবে। এর আগে বিকেল ৪টায় কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে শুরু হতে যাওয়া অধিবেশনের সময়সূচি নির্ধারিত হবে। এ অধিবেশনের শুরুতেই থাকছে বর্তমান সংসদের দু’জন সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী সিটিং সংসদ সদস্য মারা গেলে তার ওপর শোক প্রস্তাবের আলোচনার পর সংসদ মুলতবি করতে হয়।সেই হিসেবে রোববার আওয়ামী লীগের এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা ও জাতীয় পার্টির মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে কর্মময় জীবন নিয়ে সরকারি দল ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা আলোচনা করবেন। প্রশ্নোত্তর ও অন্য সব কিছু টেবিলে উত্থাপন করা হতে পারে। বর্তমান সরকারের বিদায়ী অধিবেশনে ২২টি বিল কার্যতালিকায় রয়েছে। এরমধ্যে ১১টি নতুন বিল রয়েছে। তাছাড়া তিনটি বিল পাসের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। কয়েকটি বিল পাস ছাড়া এই অধিবেশনে উল্লেখ্যযোগ্য কিছু নেই। ধারণা করা হচ্ছে স্বল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হবে অধিবেশন। এই দশম সংসদের মাধ্যমে অনেক সংসদ সদস্যের জীবনেরও শেষ অধিবেশন হতে যাচ্ছে। এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ (দিলু) প্রমুখ। এরা বয়সের কারণে আগামী নির্বাচনে থাকছেন না বলে ধরা হচ্ছে। এদের জায়গায় নিজের সন্তান ও ভাই বা পরিজনদের গুঞ্জন রয়েছে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে। আগামী ২৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের দশম সংসদের পাঁচবছর পূর্ণ হবে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পাঁচবছর পূর্ণ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসেবে অক্টোবর মাস থেকে নির্বাচনের দিনক্ষণ গণনা শুরু হবে। নির্বাচন কমিশন এরই আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হতে পারে বলে জানিয়েছে। এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই আগামী ২২তম অধিবেশনকেই ধরা হচ্ছে বর্তমান সরকারের শেষ অধিবেশন। তবে সরকার চাইলে এই অধিবেশন এক বা দু’দিন বসে মুলতবি করে আবারও বসাতে পারে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শেষ বছর চলছে। আগামী ২৮ জানুয়ারি দশম সংসদের পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই হিসেবে অক্টোবর মাস থেকে নির্বাচনের দিনক্ষণ গণনা শুরু হবে। এরইমধ্যে সরকারের সিনিয়র মন্ত্রীরা আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়েও একটা আভাস দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে। তাছাড়া চলতি মাসেই নির্বাচনকালীন ছোট সরকার গঠনেরও একটা ধারণা দিয়েছেন তিনি।