স্বাস্থ্য

কাঁচা টমেটোর বিস্ময়কর উপকারিতা

By daily satkhira

September 09, 2018

অনলাইন ডেস্ক: কাঁচা টমেটোতে উপস্থিত লাইকোপেন এবং বিটা ক্যারোটিন নামক উপাদান শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের যেমন বের করে দেয়, তেমনি স্ট্রেস লেভেলও দ্রুত কমিয়ে ফেলে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। এখানেই শেষ নয়, টমেটোতে উপস্থিত ভিটামিন ই, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়ামও নানা ভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই সবজিটি কাঁচা নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে, সাধারণত যে উপকারগুলি পাওয়া যায় চলুন জানা যাক সেগুলো।

১. শরীরকে বিষমুক্ত করে: টমেটোয় উপস্থিত সালফার, দেহে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন লিভার এবং কিডনিতে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বের করে দেয়, তেমনি এই দুই অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে আসতে পারে না। তাই তো বলি বন্ধু, দীর্ঘদিন যদি সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চান, তাহলে নিয়মিত কোনো না কোনো ভাবে টমেটো খেতে ভুলবেন না যেন!

২. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত একটা করে কাঁচা টমেটো অথবা এক গ্লাস টমাটোর রস খেলে শরীরের অন্দরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। আর পেট ভরা থাকলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার পরিমাণও কমে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।

৩. ত্বকের বয়স কমে: আপনার বয়স কি ৩০ পেরিয়েছে? তাহলে প্রতিদিন টমেটোর রস লাগানো শুরু করুন মুখে। কারণ এই বয়সের পর থেকেই নানা কারণে ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়ার কারণে সৌন্দর্য কমে চোখে পরার মতো। কিন্তু, যদি টমেটোকে উদ্ধার কাজে লাগান, তাহলে ত্বকের এমন খারাপ অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

৪. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে: শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকলে হার্টের কতটা ক্ষতি হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না! তাই তো বলি বন্ধু যারা বেজায় অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করে থাকেন, তারা যদি হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে না চান, তাহলে প্রতিদিনের ডায়েটে কাঁচা টমেটোকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন!

৫. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে: পরিমাণ মতো টমেটোর পেস্টের সঙ্গে ১ চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রনটি মুখে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন। এমনটা প্রতিদিন করলে দেখবেন ত্বকের উপরে জমে তাকা মৃত কোষের স্তর সরে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।