দেশের খবর: রাজধানীর মহাখালী ও তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে তিন দিন আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের বিরুদ্ধে। তাঁদের কী কারণে আটকে রাখা হয়েছে, সে সম্পর্কে পরিবারকে কিছু জানানো হয়নি বলেও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি। রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ক্রাইম রিপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আটক শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তারা বলেন, অভিযান চালিয়ে তিন দিন আগে শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। আটক শিক্ষাথীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। পরিবারের সদস্যদের দাবি অনুযায়ী, আটককৃতরা হলেন আল আমিন, জহিরুল ইসলাম হাসিব, মুজাহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল্লাহ বিন মনসুর, গাজী এম বোরহান উদ্দিন, তারেক আজিজ, মাহফুজ, রায়হানুল আবেদীন, ইফতেখার আলম, তারেক আজিজ ও মেহেদী হাসান রাজীব। তাদের মধ্যে ছয়জন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র, অন্যররা হলেন তিতুমীর কলেজ, করটিয়ার সরকারি সা’দত কলেজ ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সির ছাত্র। এসব শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মহাখালী, তেজকুনিপাড়া ও বিজি প্রেস এলাকা থেকে ৩১ জনকে তুলে নিয়ে যায়। এক দিন পর ১২ জনকে আটকে রেখে বাকিদের মুচলেকা নিয়ে মিন্টো রোডের ডিবি অফিস থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর এই শিক্ষার্থীদের আদালতে তোলার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের বেআইনিভাবে আটকে রেখেছে পুলিশ। আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করে অভিভাবকরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে আহবান জানান।